করোনার ডেল্টা ও ওমিক্রনের সংক্রমণ সুনামির মতো আছড়ে পড়বে। তার জেরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। এমনই সতর্কতা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এই মুহূর্তে করোনার ডেল্টা ও ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে যেভাবে দাপট দেখাচ্ছে, তার জেরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা, মৃত্যুও। শেষ এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ, রেকর্ড সংক্রমণ দেখা দিয়েছে ফ্রান্স ও আমেরিকার। যার পিছনে ভূমিকা রয়েছে ডেল্টা ও ওমিক্রন প্রজাতির। হু-এর প্রধান বুধবার জেনেভায় বলেছেন, 'আমরা ওমিক্রন নিয়ে চিন্তিত। আগামী বছরেও করোনার বিরুদ্ধে লড়তে হবে আমাদের।'
তিনি বলেছেন, চলতি বছরের শেষে প্রতিটি দেশের ৪০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ হয়ে যাওয়ার কথা। আগামী বছরের মাঝামাঝি সেই শতাংশের হিসাব পৌঁছে যাওয়ার কথা ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। তবে হু'র ১৯২টি প্রতিনিধি দেশের মধ্যে ৯২টি দেশই এই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ইউরোপ-আমেরিকা-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের করোনা নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছিল। ফলে অনেকেই টিকা নিতে চাননি। টিকাকরণ নিয়ে অনীহার জেরেও অনেককে ভুগতে হচ্ছে, এমনকী মৃত্যুর মুখ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা।
হু প্রধান বলেছেন, 'শুধু কোভিড রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বলেই যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে তা নয়, স্বাস্থ্যকর্মীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আর সেটাই ভাবনার বিষয়।' তবে যাঁরা এখনও টিকা নেননি, কোভিডের যে কোনও ভ্যারিয়েন্টেই তাঁদের মৃত্যু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি৷ তাঁর আশা, টিকাকরণ সম্পূর্ণ হলেই আগামী বছর অতিমারির সমাপ্তি হতে পারে। প্রসঙ্গত, ভারতে এই মুহূর্তে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬১। গোষ্ঠী সংক্রমণের দিকে এগোচ্ছে আশঙ্কা একাধিক রাজ্যের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন