ফের একবার করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে চীন, জাপান ও আমেরিকায়। তবে ভারতীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কোনো কারণ নেই। এমনটাই দাবি করছেন বিশিষ্ট ভাইরাস বিশেষজ্ঞ গগনদ্বীপ কাঙ।
লকডাউনের ক্ষতিকর প্রভাব সকলেরই জানা। ফের যাতে আর একটা লকডাউন না হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সতর্কতা নিচ্ছে প্রশাসন। ভিড় জায়গাগুলিতে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। গগনদ্বীপ কাঙ বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ওমিক্রনের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। BF.7 ভ্যারিয়েন্টটি অতিসহজেই সংক্রমিত হতে পারে। এর শক্তি করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মতো ভয়াবহ নয়’।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বিশাল পরিমাণ সংক্রমণ অবশ্যই চিন্তার বিষয়। কিন্তু করোনার মোকাবিলা ঘরে বসেও করা যায়। ভারতের অবস্থা চীনের মতো নয়। এখন থেকেই যদি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্টিটি (BF.7) একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে যায়। যাঁরা টীকা নিয়েছেন তাঁরাও আক্রান্ত হতে পারেন। নিজদেরকে সাবধান থাকতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। কোভিডবিধি মেনে চলতে হবে।
উল্লেখ্য, চীনের পাশাপাশি জাপান, আমেরিকা ও জার্মানির করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানান হয়েছে। বুস্টার ডোজের বদলে ভারতীরা এবার নাকের মধ্যে স্প্রে করে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। এই ভ্যাকসিনের নাম ইনকোভ্যাক (iNCOVACC)। ভ্যাকসিনটি বানিয়েছে ভারত ভায়োটেক। যার ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আপাতত বেসরকারি হাসপাতালে এই ভ্যাকসিন মিলবে। ৪ সপ্তাহের ব্যবধানে ২টি ডোজ নিতে হবে। ৪ ড্রপ করে নিতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন