করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গোটা দেশে ব্যাপকহারে অক্সিজেনের অভাব দেখা গিয়েছিল। প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় কেন্দ্র। তার জেরে প্রচুর রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। এমনই অভিযোগে জেরবার হয়েছিল মোদি সরকার। সমালোচিত হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকাও। কিন্তু বছর শেষে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী তথ্য দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। সংসদে জানালেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অক্সিজেনের ঘাটতিতে ‘সম্ভবত’ গোটা দেশে মাত্র চারজন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছিল।
এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় রাজনীতি শুরু হয়েছিল। কয়েকটি রাজ্য আদালতে গিয়ে নিজেদের পক্ষে সমর্থনের জন্য অক্সিজেনের চাহিদা বাড়িয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রীদের কোভিড বা অক্সিজেনের ঘাটতিতে মৃত্যুর সংখ্যা জানাতে বলেছিলেন।’ প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরও রাজ্যগুলি অক্সিজেনে মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখ করেনি বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র।
এই বিষয়ে কংগ্রেস সাংসদ বালুভাউ ধানোরকরের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সব রাজ্যের কাছে চিঠি পাঠিয়ে অক্সিজেনের ঘাটতির বিষয়ে তথ্য চেয়েছিলাম। ১৯টি রাজ্য জবাব দিয়েছিল।' শুধু পঞ্জাবই অক্সিজেনের ঘাটতিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে 'সন্দেহ' প্রকাশ করেছিল।
বাদল অধিবেশনে কেন্দ্র রাজ্যসভাকে জানিয়েছিল, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর খবর মেলেনি। সরকারের কাছে এই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই।
প্রসঙ্গত, শীতকালীন অধিবেশনে কৃষক আন্দোলনে কৃষক মৃত্যুরও তথ্য নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। আর যেহেতু তথ্য কৃষক মৃত্যুর তথ্য কেন্দ্রের কাছে নেই, তাই ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও প্রশ্ন নেই বলে জানিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন