আগামী ১৯ জুন প্রথম পোলিও ভ্যাকসিনের সাব ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন ডে পালিত হবে। ১১ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই প্রকল্প পরিচালিত হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে শনিবার একথা জানানো হয়েছে।
পোলিও টিকার প্রচারের জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে বিহার, চণ্ডীগড়, দিল্লি, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রচার চলাকালীন, বুথ, ঘরে ঘরে, মোবাইল এবং ট্রানজিট টিমের মাধ্যমে ৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৩.৯ কোটি শিশুকে পোলিও ড্রপ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
শিশুদের অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদানের জন্য, কেন্দ্রীয় সরকার তার রুটিন টিকাদান কর্মসূচিতে ইনজেকশনযোগ্য নিষ্ক্রিয় পোলিও ভাইরাস ভ্যাকসিনও চালু করেছে।
ভারত যখন ইউনিভার্সাল ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রামের (ইউআইপি) অধীনে অতিরিক্ত টিকা দিয়ে দেশের শিশুদের আরও বেশি করে ভ্যাকসিন-প্রতিরোধযোগ্য রোগ (ভিপিডি) থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে, তখন স্বাস্থ্য মন্ত্রক, দেশের প্রতিটি শিশুর কাছেও এই টিকা পৌঁছে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে।
ন্যাশনাল পোলিও প্রোগ্রামের অধীনে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা থেকে নিয়মিত টিকাদানকে শক্তিশালী করতে এবং ৯০ শতাংশের বেশি পূর্ণ টিকাদান লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে তা ব্যবহার করা হচ্ছে।
রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থা - যেমন WHO, UNICEF, রোটারি ইন্টারন্যাশনাল এবং অন্যান্য অংশীদাররা শুধুমাত্র পোলিও নির্মূলে নয়, নিয়মিত টিকাদান উদ্যোগের উন্নতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
WHO-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের অন্যান্য ১০টি দেশের সাথে ভারত, ২৭ মার্চ, ২০১৪-তে ভারতকে পোলিও-মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। দেশে পোলিওর সর্বশেষ ঘটনাটি ১৩ জানুয়ারী, ২০১১-তে। যে রিপোর্ট পাওয়া গেছিলো পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন