শিলিগুড়ির ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছেন গ্রাহকরা। সঠিক পরিষেবা না পেয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
শিলিগুড়িতে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্তের সময় নার্সিংহোমগুলি স্বাথ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করছে না। এমনই অভিযোগ সামনে আসছে। একাংশের অভিযোগ, কেবল প্রভাবশালী নেতাদের সুপারিশ থাকলেই নার্সিংহোমগুলি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করছে। সুপারিশ না থাকলে চিকিৎসা না পেয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীদের। তাঁরা এও অভিযোগ করেন, সরকারি হাসপাতালে জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে লোক নার্সিংহোমে যাচ্ছেন। কিন্তু সেখানেও এমন অবস্থা হলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?
সিপিআইএম মুখপত্র গণশক্তিতে দাবি করা হয়েছে, এরকম একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকায় শুক্রবার দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলা CMOH-র সাথে বৈঠক করেন মেয়র গৌতম দেব। দুই জেলার অন্তর্গত একাধিক নার্সিংহোমের আধিকারিকেরা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ১২ টি নার্সিংহোমকে শোকজ করেছে। গণশক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে এর আগেও ৫টি নার্সিংহোমকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে শোকজ করা হয়েছিল।
শিলিগুড়ির ৪২ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়েন মেয়র গৌতম দেব। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নর্দমাগুলি ঠিক করে পরিষ্কার করা হচ্ছে না। যাঁরা পরিদর্শনে আসে তারা ঠিক করে সমস্ত জায়গা ঘুরে দেখেন না। ডেঙ্গু দমনে ব্যবস্থাপনা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, শুক্রবারই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন শিলিগুড়ির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক মহিলা। যা নিয়ে বেশ আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও সিএমওএইচ এবিষয়ে বিষদে কিছু জানাননি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন