যেসব চিকিৎসকরা তাঁদের রোগীদের জেনেরিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নোটিশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলায় এমনই নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি, এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার, সমস্ত রাজ্য সরকার, এথিক্স অ্যান্ড মেডিক্যাল রেজিস্ট্রেশন বোর্ড (পূর্ববর্তী মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া) ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিক্রিয়াও জানতে চেয়েছে আদালত।
আবেদনকারী আইনজীবী কে.সি জৈন এদিন দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবায় জেনেরিক ওষুধের গুরুত্বের কথা জানিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জি.বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র’র বেঞ্চের সামনে এদিন জৈন বলেন, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল রেগুলেশন, ২০০২-এ বিশেষভাবে জেনেরিক নামের ওষুধগুলি নির্ধারণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই নিয়ম শুধুমাত্র আইনি পরিকাঠামোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে অনেকাংশেই তা কার্যকর হয়নি।
জৈন আরও জানিয়েছেন, যেকোনো ওষুধের ক্রয়মূল্য দেশের স্বাস্থ্যের অধিকারের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর ওষুধের দামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। জেনেরিক ওষুধগুলির সঙ্গে বড় নামী কোম্পানির ওষুধের উপাদানগত বিশেষ পার্থক্য নেই। কিন্তু একই উপাদান দিয়ে তৈরি জেনেরিক ওষুধ ও নামী কোম্পানির ওষুধের দামের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক রয়েছে। নামী কোম্পানির ওষুধের চেয়ে জেনেরিক ওষুধের দাম অন্ততপক্ষে ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ কম হয়।
আইনজীবীর মামলা ও বাকি তথ্য খতিয়ে দেখে শীর্ষ আদালত জানায়, যে সমস্ত চিকিৎসকেরা নিয়ম বহির্ভূতভাবে জেনেরিক ওষুধের জায়গায় দীর্ঘকাল ধরে নামী-দামী কোম্পানির একই ওষুধ রোগীদের নির্ধারণ করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি, জেনেরিক ওষুধ নির্ধারণের দিকেও জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন