গুজরাট, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, অরুণাচল প্রদেশ সহ ভারতের একাধিক রাজ্যে উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে কনজাংটিভাইটিস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগরের পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, পঠন-পাঠন বন্ধের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
বর্ষার সময় কনজাংটিভাইটিস বা চোখের রোগ বেশি হয়। ছোটো থেকে বড়ো প্রায় সকলেই এই রোগে আক্রান্ত হয়। তবে ছোটোদের মধ্যে সঙ্ক্রমণের হার বেশি। অরুণাচল প্রদেশে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ এতোটাই বেশি পরিমাণে ছড়িয়েছে যে সোমবার ইটানগরের ডেপুটি কমিশনারের পক্ষ থেকে বিদ্যালয় বন্ধ রাখা নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যাতে লেখা রয়েছে, সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিতে নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ২৫-২৯ জুলাই অবধি পঠন-পাঠন বন্ধ থাকবে। পাঁচ দিন ধরে সার্ভে করার পর এই নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন।
লংডিং-র ডেপুটি কমিশনার একটি সার্কুলারে বলেছেন, 'সংক্রমণের গুরুত্ব বুঝেই কানুবাড়ি এবং লনু শিক্ষা ব্লকের সমস্ত স্কুল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে রোগ সংক্রমণের চেইনটিকে ভাঙা যায়।'
অন্যদিকে গুজরাটে ভাদোদরাতেও ক্রমশ সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্রের খবর, ওই জায়গায় প্রতিদিন প্রায় ৫০০ জন করে কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। দিল্লি, কলকাতাতেও চোখের রোগে অনেকেই সংক্রমিত হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা কংজাংটিভাইটিসের এই নতুন ঢেউকে যথেষ্ট শক্তিশালী ও ব্যাপক ছোঁয়াচে বলে অভিহিত করেছে। কারণ, এবার শুধুমাত্র শিশুরাই নয়, আক্রান্ত হচ্ছেন পূর্ণবয়স্করাও। পাশাপাশি এবারে আক্রান্তের হার সাধারণের চেয়ে অনেক বেশি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই কংজাংটিভাইটিস অত্যন্ত ভাইরাল। বিভিন্নভাবে এই কংজাংটিভাইটিস ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে নোংরা থেকে ও ত্বকের সঙ্গে ত্বকের ছোঁয়া থেকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে কংজাংটিভাইটিসের এই নতুন অ্যাডিনোভাইরাসের স্ট্রেইন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন