সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) যোধপুর মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে স্ব-প্রণোদিতভাবে মানসিক রোগ নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া মানুষের পরিমাণ এক শতাংশেরও কম।
আরও বলা হয়েছে, ভারতে বেশি উপার্জিত ব্যক্তিরা বেশি মানুষ মানসিক অবসাদে ভোগেন। উল্লেখ্য, মানসিক অসুস্থতার উপরে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে ২০১৭-১৮ সালের জাতীয় নমুনা সমীক্ষার তথ্যের উপর ভিত্তি করে। তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল ৫,৫৫,১১৫ জন ব্যক্তির থেকে (গ্রামে - ৩,২৫,২৩২ এবং শহরে - ২,২৯,২৩২)
সমীক্ষায় দেখা গেছে - উচ্চ আয়ের ব্যক্তিরা নিম্ন আয়ের লোকদের তুলনায় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি সচেতন। পাশাপাশি, যারা বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে জড়িত তাঁদের মধ্যে মানসিক অসুস্থতার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো-সায়েন্স (NIMHANS) দ্বারা করা ২০১৭ সালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য সমীক্ষায় জানা গেছে ১৯৭.৩ মিলিয়ন ব্যক্তির মানসিক ব্যাধি রয়েছে। গবেষণায় ভারতের আর্থ-সামাজিক বিভাজন প্রকাশ পেয়েছে। ভারতের দরিদ্র জনসংখ্যার তুলনায় প্রায় ১.৭৩ গুণ ধনী জনসংখ্যা মানসিক অবসাদগ্রস্ত।
আইআইটি যোধপুরের স্কুল অফ লিবারেল আর্টস (সোলা)-এর সহকারী অধ্যাপক ডঃ অলোক রঞ্জন বলেছেন, "সমাজ মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলি রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য বাধা হিসাবে কাজ করে৷ আজকের সমাজেও, মানসিক স্বাস্থ্য়ের সমস্যাগুলি ডাক্তারের কাছে জানাতে অনীহা প্রকাশ করেন অনেকে৷ মানসিক স্বাস্থ্যকে অবজ্ঞা করে সামাজের ভয়ে নীরব থাকেন তাঁরা৷ আমাদের এমন একটি পরিবেশ গড়ে তোলা দরকার যেখানে মানসিক সমস্যায় ভোগা ব্যক্তি নির্ভয়ে নিজের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন