Patanjali: রামদেব ও পতঞ্জলির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা বন্ধ সুপ্রিম কোর্টের, তবে সতর্কও করেছে

People's Reporter: বেঞ্চ জানায়, আদালত রামদেব এবং তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণের নিঃশর্ত ক্ষমা গ্রহণ করেছে। তবে ভবিষ্যতে যাতে আদালতের নিয়ম লঙ্ঘন না করা হয়, সেটা নিয়ে সতর্ক করেছে বেঞ্চ।
রামদেব
রামদেব ফাইল চিত্র
Published on

বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন যোগগুরু রামদেব। রামদেব এবং তাঁর সংস্থা পতঞ্জলির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা বন্ধ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। ভবিষ্যতে যেন এই ভুল না হয়, এই শর্তেই রামদেবকে রেহাই দিল আদালত।

শনিবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহেতার বেঞ্চ জানায়, আদালত রামদেব এবং তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণের নিঃশর্ত ক্ষমা গ্রহণ করেছে। তবে ভবিষ্যতে যাতে আদালতের নিয়ম লঙ্ঘন না করা হয়, সেটা নিয়ে সতর্ক করেছে বেঞ্চ।

বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন মামলায় চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর এই মামলায় রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি হিমা কোহলি এবং আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ। ২ এপ্রিল তাঁদের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেই নির্দেশ মেনে সুপ্রিম কোর্টে সশরীরে হাজিরা দেন রামদেব। মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই ধরনের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গোটা দেশকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। আইএমএ–র অভিযোগ ছিল, কোভিডের সময় কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও ভুয়ো দাবি করে শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। গত বছরের নভেম্বরে মামলাটির শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার বন্ধ না করলে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থাকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে। এরপর প্রায় প্রতি শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে রামদেবকে। আদালতের নির্দেশ মতো সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়েছে তাঁকে। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনগুলিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময় করোনিল কিট বাজারে এনেছিল পতঞ্জলি। পতঞ্জলি সেই সময় প্রচার করেছিল এই কিট কোভিড মোকাবিলায় সহায়তা করে। ‘করোনিল’ এবং ‘শ্বাসারি বটি’ নামে দু’ধরনের ট্যাবলেট এবং ‘অণু তৈল’ নামের ২০ মিলিলিটারের একটি তেলের শিশি নিয়ে তৈরি ওই কিটের দাম রাখা হয়েছিল ৫৪৫ টাকা। চাইলে আলাদা ভাবে ট্যাবলেট এবং তেল কেনা যাবে বলেও জানানো হয়েছিল।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in