নিট পরীক্ষায় কেন দেড় হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীকে গ্রেস নম্বর দেওয়া হল, এর ব্যাখ্যা চেয়ে এবার পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-কে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। ৮ জুলাইয়ের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে এনটিএকে।
নিটে বাড়তি নম্বরের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে একটি লার্নিং অ্যাপ। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। মামলাকারীদের অভিযোগ, পরীক্ষার যে ওএমআর শিট দেওয়া হয়েছিল, তা অনেক পরীক্ষার্থীই পাননি। পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এরপরেই দুই বিচারপতির বেঞ্চ আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে এনটিএ –র কাছে বাড়তি নম্বর দেওয়ার ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। ওএমআর শিট সংক্রান্ত বিষয়েও এনটিএর কাছে জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, ওই দিনই শীর্ষ আদালতে নিট সংক্রান্ত বাকি মামলাগুলিরও শুনানি রয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সংসদের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় নিট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্ম। তাঁর কথায়, “সরকার স্বচ্ছ ভাবে তদন্ত করতে বদ্ধপরিকর। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় যাঁরা দোষী প্রমাণিত হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন নিটের ফল প্রকাশ হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ৬৭ জন পরীক্ষার্থী ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ নম্বরই অর্জন করেছে। আবার এমন অনেক পরীক্ষার্থী রয়েছে যারা ৭১৭, ৭১৮ নম্বর পেয়েছে। কিন্তু নেগেটিভ মার্কিং দিলে ৭১৭ বা ৭১৮ নম্বর কোনোভাবেই একজন পরীক্ষার্থী পেতে পারে না। এনটিএ জানিয়েছিল ওই প্রার্থীদের গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছে। তারপরই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের হয়।
গ্রেস পাওয়া পরীক্ষার্থীদের ওই নম্বর বাতিল করে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ফের পরীক্ষা নেওয়া হয়। গত রবিবার (২৩ জুন) হয় সেই পরীক্ষা। কিন্তু ওইদিন এর মধ্যে ৪৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেননি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন