এবার নিটের অনিয়মের অভিযোগে জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা বা এনটিএ –র কাছে জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার উপর কোনো স্থগিতাদেশ জারি করেনি শীর্ষ আদালত।
নিটের প্রশ্নফাঁস এবং ঢালাও নম্বর দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে কাউন্সেলিং বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন। তেমনই একটি মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং আহসানুদ্দিন আমানুল্লার অবকাশকালীন বেঞ্চ এনটিএ-র আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, “পরীক্ষার পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে। তাই আমরা উত্তর চাই।” একই সঙ্গে বিচারপতি জানতে চান, জবাব দিতে কত দিন সময় লাগবে তাঁদের। দুই বিচারপতির বেঞ্চ মৌখিক ভাবে জানায়, আপাতত কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না।
চলতি বছরের ৫ মে হয়েছিল নিট। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। ৪ জুন নিটের ফল প্রকাশের পর দেখা গেছে ৬৭ জন সম্পূর্ণ নম্বর (৭২০) পেয়ে প্রথম হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন একই পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছেন। যার পর থেকেই একাধিক অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করে। সারা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। যদিও, গত শনিবার নিট কর্তৃপক্ষ সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষায় কোনো বেনিয়ম হয়নি।
এর আগে গত ১৭ মে ফলপ্রকাশে স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ৮ জুলাই এই মামলাটির শুনানি। ওই দিনই পরীক্ষা বাতিলের আর্জি জানানো সংক্রান্ত মামলাটিরও পরবর্তী শুনানি হবে। ওই দিনই এনটিএ –কে জবাব দেওয়ার নোটিশ জারি করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন