বিহারে কোভিড-১৯ সন্দেহভাজনদের পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল বলে অভিযোগ তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। তাঁর আরও অভিযোগ, মহামারী চলাকালীন তিন স্বাস্থ্য সচিবের বদলিতে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার জড়িত ছিলেন। এর ফলস্বরূপ, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের সংখ্যা সাত দিনের মধ্যে ১০ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছিল ১ লক্ষ হয়েছিল এবং এর পরের ২৫ দিনে তা ২ লক্ষে পৌঁছেছিল।
আরজেডি নেতার অভিযোগ, কোভিড-১৯ সন্দেহভাজনদের কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষাই করাননি সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য আধিকারিকরা, কেবল কাগজপত্রে নথি রেকর্ড করেছেন। পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ রাজ্য কোষাগারের কোটি কোটি টাকা হস্তান্তর করে নিয়েছে এঁরা। এটা বিশাল বড় একটা কেলেঙ্কারি।
তেজস্বী যাদব বলেন, "গত বছর আগস্ট মাসেই এই অন্যায়গুলো তুলে ধরেছিলাম আমরা, কিন্তু আমাদের অহংকারী মুখ্যমন্ত্রী সেই অভিযোগ খারিজ করে দেন। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন সঠিক পদ্ধতিতেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। কিন্তু এখন আসল চিত্রটি আমাদের সামনে ধরা পড়েছে।"
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিহারে কোভিড সন্দেহভাজনদের পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়মের দাবি করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে করা একটি স্টিং অপারেশনে দেখা গেছে, টেস্টের জন্য ভুয়ো নাম, ভুল মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে এবং প্রত্যেকের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ১৬, ১৮ এবং ২৫ জানুয়ারি পাটনা, জামুই এবং শেখপুরা জেলার মোট ছ'টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই স্টিং অপারেশন চালিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। জামুইতে এই তিনদিনে ৫৮৮ জনের পরীক্ষা করা হয়েছিল, প্রত্যেকের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। সব ক্ষেত্রেই ভুয়ো নাম, ভুল মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তেজস্বী যাদব বলেন, "মহামারী চলাকালীন সমস্তকিছু স্বচ্ছভাবে পরিচালনার জন্য ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠনের প্রত্যাশা করছি আমরা। কমিটির অনুপস্থিতিতে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়ের স্বচ্ছতা নেই এখানে। আমাদের দৃঢ় সন্দেহ বিহারে র্যাপিড অ্যান্টিজেন কেলেঙ্কারি হয়েছে। দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীদের সুরক্ষা দিচ্ছেন নীতিশ কুমার, অতীতেও একাধিক বিশিষ্ট আইএএস অফিসারদের চিঠিতে এইধরনের ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন