দেশে কোভিড মহামারিতে সরকারি হিসেব মতো মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা অনেকটাই ছাপিয়ে যেতে পারে। এমনটাই মত, ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট-এর সমীক্ষা। ব্রাজিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যার ভিত্তিতে ভারতের স্থান তালিকায় তৃতীয়। কিন্তু নতুন এই সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি হিসেবে যে মৃত্যুর হিসেব দেওয়া হয়েছে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা তার থেকে অনেকটাই বেশি।
সমীক্ষাটি করেছেন অন্যান্যদের পাশে ভারতের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রমণিয়ান। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসেব থেকে অনেকটাই বেশি বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।সরকারি হিসেব মতো, দেশে করোনার মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ১৪ হাজার মানুষের। কিন্তু এই মৃত্যুর সংখ্যা ৪ রাখ ৯০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে।এপ্রিল-মে মাসে দ্বিতীয় ঢেই আছড়ে পড়ার পর দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও একেবারে ভেঙে পড়ে। দ্বিতীয় ঢেউতে শুধুমাত্র মে মাসেই মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষের।
যদিও রিপোর্টে অতিরিক্ত মৃত্যুর সংখ্যার হিসেব উল্লেখ করা হয়নি। বরং সমীক্ষায় মৃত্যুর কারণ মহামারীর আগের ও পরের হিসাব অনুসারে হিসেব করা হয়েছে। এই বিষয়ে রয়টার্স একটি রিপোর্ট মেইল করে পাঠিয়েছে কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু, স্বাস্থ্য মন্ত্রক এখনও পর্যন্ত তার কোনও উত্তর দেয়নি। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে কোভিডে অতিরিক্ত মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা বোঝা যাবে আসল মৃত্যুর সংখ্যার হিসেব বিচার করলেই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টিকাকরণ প্রক্রিয়ার ঝামেলার জন্য ইতিমধ্যেই আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে বার বার। টিকাকরণ ঠিকভঅবে না হওয়ার কারণেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্ত বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৮ শতাংশ মানুষকে দুটি ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন