করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে, এরকম আশঙ্কার কথা কয়েকমাস আগে থেকেই বিশেষজ্ঞরা শুনিয়ে আসছিলেন। এই মুহূর্তে দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। কলকাতা-সহ দেশের ২৩টি জেলায় সংক্রমণের হার ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে। সতর্কতা বজায় রেখে চললে তৃতীয় ঢেউ ঠেকানো যেতে পারে। কিন্তু সামনেই উৎসবের মরশুম। সেই মরশুমে সতর্ক না হলে দেশে তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী। এমনই সতর্কবার্তা শুনিয়েছেন এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। শনিবার কোভিড সংক্রান্ত এক আলোচনাচক্রে বাড়ি থেকে করোনা সংক্রমণ রোখায় গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি।
গত বছরের শেষ থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মূলত উৎসবের দিনগুলিতে মানুষের ভিড় ওই সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ছিল। যা পরে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ডেকে আনে। দুর্গাপুজো, দশেরা, দীপাবলি, ইদে বাড়ি থাকার জন্য লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
এইমসের প্রধান বলেন, 'আসন্ন উৎসবের দিনগুলিতে বাড়িতে থাকাই বাঞ্ছনীয়। কারণ, একটি স্থানে হঠাৎ জনঘনত্বের বৃদ্ধি সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। এই মুহূর্তে আমরা যে পরিস্থিতিতে রয়েছি, তাতে কোনও ভাবেই তৃতীয় ঢেউকে ডেকে আনতে পারি না।'
এদিন টিকাকরণের উপরেও জোর দিয়েছেন গুলেরিয়া। যাঁরা এখনও টিকা নেননি তাঁদের টিকা নিতে বলেছেন তিনি। গুলেরিয়ার মতে, করোনা দেশ থেকে একেবারে মুছে না গেলেও, টিকাকরণের ফলে সংক্রমণ অনেক কমেছে। অন্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে করোনা স্থানীয় রোগে পরিণত হবে।
গুলেরিয়ার কথায়, যেহেতু দেশের বড় সংখ্যক জনগণের শরীরে করোনা-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে, তাই সংক্রমণ ক্ষমতা হারাচ্ছে করোনা ভাইরাস। যাঁদের কো-মরবিডিটি বা অসুস্থতা রয়েছে অথবা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যাঁরা টিকা নেননি, তাঁদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গুলেরিয়া।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন