রাজ্যে চিকিৎসকদের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গুর দুটি প্রজাতি ডেন টু এবং ডেন থ্রি। নাইসেড ফেরত রিপোর্টে তেমনটাই দেখা যাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।
নাইসেড সূত্রে খবর, আগস্ট মাস পর্যন্ত ১২৪ জন ডেঙ্গু পজিটিভ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ৯৩ জনের নমুনায় ডেঙ্গুর ডেন থ্রি এবং ২৭ জনের শরীরে ডেন টু প্রজাতি মিলেছে। গত বছর ৭১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে ৩৮১ জনের শরীরে মিলেছিল ডেন থ্রি এবং ৩১৭টি নমুনায় মিলেছিল ডেন টু প্রজাতি। ডেঙ্গুর মূলত চারটি প্রজাতি আছে। তার মধ্যে শক্তিশালী প্রজাতি হলো ডেন টু ও ডেন থ্রি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত রাজ্যে ১৫ হাজার জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। সকলেরই উপসর্গ জ্বর, মাথা ব্যাথা, বমি। আবার কারুর দেখা যাচ্ছে গায়ে লাল লাল দাগ। ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস ইজিপ্টাই মশা। এরা সাধারণত পরিষ্কার জলেই ডিম পাড়ে।
ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্তের কারণে সরকারি হাসপাতালগুলিতে প্লেটলেটের সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। কারণ প্রচুর চাহিদা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি কলকাতার বেহালার ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুস্মিতা দত্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। ৩১ অগাস্ট তিনি এক নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেই প্রাণ হারান। যদিও পুরসভার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে তাঁর সেরিব্রাল অ্যাটাকের কারণে মৃত্যু হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন