দেশের দোরগোড়ায় কড়া নাড়তে শুরু করে দিয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। কারণ, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ‘আর ভ্যালু ফ্যাক্টর’ও। তৃতীয় ঢেউয়ের এপি সেন্টার হওয়ার সম্ভাবনা সেই কেরলই। আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসক মহল। কেরলে সংক্রমণের ‘আর ভ্যালু’র বৃদ্ধিকে রোখা যাচ্ছে না। এ-ব্যাপারে এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়ার আশঙ্কা, ‘দেশের একটা বড় অংশে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি কপালে ভাঁজ ফেলেছে। ওইসব এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে কোভিড নিয়ন্ত্রণে মারমুখী মনোভাব নিয়ে ঝাঁপাতে হবে।’
এখন প্রশ্ন, ‘আর ভ্যালু’ কী? তা নিয়ে এত উদ্বেগ বা কেন? ১০০ জন কোভিড আক্রান্ত মোট কতজনকে সংক্রমিত করছে, তা নির্ধারণ হয় এই ‘আর ভ্যালু’ সূচকের মাধ্যমে। একশো জন আক্রান্ত যদি ৬০ জনকে সংক্রমিত করে, সেক্ষেত্রে ‘আর ভ্যালু' হবে ০.৬০। দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গড় হিসাবে ‘আর ভ্যালু’ শুরু হয় ০.৯৬ থেকে। এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১-এ। অর্থাৎ, ১০০ জন আক্রান্ত ১০০ জনকেই সংক্রমিত করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ‘আর ভ্যালু’ ১-এর ঘরে আছে, তবুও ঠিক আছে। কিন্তু ১-এর ঘর ছাড়ালেই তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী।
শুক্রবার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪২ হাজার ২৩০। এর মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট। মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, চিকেন পক্সের মতোই সংক্রমণ ছড়ায় ডেল্টা। কীভাবে? গুলেরিয়ার ব্যাখ্যা, ‘চিকেন পক্সের আর ভ্যালু বা ফ্যাক্টর ৮ কিংবা তারও বেশি। অর্থাৎ, একজন আক্রান্ত কমপক্ষে ৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারেন। দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেখা গিয়েছে, একজন কেউ আক্রান্ত হলে তাঁর পরিবারের সকলেই সংক্রমিত হন। চিকেন পক্সেও এভাবেই সংক্রমণ ছড়ায়।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন