দেশজুড়ে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কথা শুনিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা, তা সম্ভবত হবে না। কোনও কোনও রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সংক্রমণের হার, টিকাকরণে দ্রুততা এবং ভাইরাসের (সার্স কোভ-টু) গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই আশার বাণী শোনাল কেন্দ্র।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) আশ্বাস দিয়েছে, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। প্রতিষ্ঠানের মহামারীবিদ্যা বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ সমীরণ পাণ্ডা রবিবার জানান, যেখানে গত তিন মাস ধরে করোনা সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের কম, সেখানে নিশ্চিন্তে স্কুল খোলা যেতে পারে। প্রায় দেড় বছর ধরে গৃহবন্দি পড়ুয়ারা। বরং সহপাঠীদের মুখোমুখি হলে তারা মানসিকভাবে চাঙ্গা হবে, যা স্বাস্থ্যকর এবং প্রয়োজনীয়।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে করোনার প্রথম ঢেউয়ে দৈনিক সর্বাধিক সংক্রমণ ছিল ৯৭ হাজার। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি দৈনিক সংক্রমণ ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ইদানীং সেই হার ৩০ হাজারের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণের সতর্কবাণী, লকডাউন, কন্টেইনমেন্ট জোন, কিংবা ভ্যাকসিন কর্মসূচির মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে বটে। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ সম্পূর্ণ যায়নি এখনও। বিশেষত, কেরল, মহারাষ্ট্র, মণিপুরের মতো কয়েকটি রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি ঘটছে।
তবে ডঃ সমীরণ পাণ্ডা আশ্বস্ত করেছেন, ‘দেশজুড়ে যেভাবে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ উঠেছিল, তা আর হবে না। যেসব রাজ্যে আগে সংক্রমণ কম হয়েছে বা আগেভাগে কড়া লকডাউনে মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে, সেইসব এলাকায় সংক্রমণ হতে পারে। প্রবীণ নাগরিকরা বেশি সমস্যায় পড়বেন। তবে দেশজুড়ে তৃতীয় ঢেউ আসবে না। নিশ্চিন্তে থাকুন। যে কয়েকটি রাজ্যে আক্রান্ত বাড়বে, সেখানেও সংক্রমণের হার হবে অত্যন্ত কম।'
এরপরও আইসিএমআর সতর্ক করেছে, তৃতীয় ঢেউ আসছে না জেনে লাগামছাড়া হলে চলবে না কোনওভাবেই। কোভিড বিধি মেনেই চলতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন