Covid-19: পুরোপুরি শেষ হয়নি কোভিড, ক্রমাগত বদলাচ্ছে রূপ - দেশে নতুন করে আক্রান্ত ১৮,৮১৯

ভারতের মধ্যে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮,৮১৯। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের মধ্যে করোনায় মারা গেছে ৩৯ জন। সুস্থ হয়েছে ১৩,৮২৭।
ফাইল ছবি
ফাইল ছবিছবি সৌজন্য দ্য স্ক্রল
Published on

বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে যে, কোভিড-১৯ মহামারী তার রূপ পরিবর্তন করছে। তবে এটি পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। সতর্কতা জারি করে বলেছে যে, বিশ্বের মধ্যে ১১০টি দেশে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে।

ভারতের মধ্যে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮,৮১৯। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের মধ্যে করোনায় মারা গেছে ৩৯ জন। সুস্থ হয়েছে ১৩,৮২৭। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪,৩৪,৫২,১৬৪-এ। বুধবার দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৯৯,৬০৩। রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪২৪। এর পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে ৩,৯৫৭, কেরালায় ৪,৪৫৯, কর্ণাটকে ১,৯৪৫, তামিলনাড়ুতে ১,৮২৭, অন্ধ্রপ্রদেশে ১৭২, উত্তরপ্রদেশে ৫৪৬ এবং দিল্লিতে ১,১০৯ জন দৈনিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল ড: ট্রেডস অ্যাডানম ঘেব্রেইসাস জানিয়েছেন, "কোভিড-১৯ মহামারী নিজের রূপ পরিবর্তন করলেও পুরোপুরিভাবে শেষ হয়ে যায়নি। কোভিড-১৯ ভাইরাসকে অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে কারণ, এই ভাইরাসের জিনোমিক সিকোয়েন্সগুলি হ্রাস পাচ্ছে। এর অর্থ হল, ওমিক্রন ভাইরাসকে অনুসন্ধান করে ভবিষ্যতে ভাইরাসের অন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি বিশ্লেষণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।"

তিনি আরও বলেছেন, "BA.4 এবং BA.5 রূপ হিসেবে কোভিড ছড়াচ্ছে। বিশ্বের প্রায় ১১০টি কেসে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। যার ফলে সামগ্রিকভাবে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। এর পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা লাগোয়া অঞ্চলগুলির ৬টির মধ্যে ৩টি-তে মৃত্যুহার বেড়েছে।"

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আধিকারিক জানিয়েছেন যে গত ১৮ মাসে সারা বিশ্বব্যাপী ১২ বিলিয়নেরও বেশি ভ্যাকসিন বিতরণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি WHO-এর প্রধানের মতে, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশগুলির কয়েক মিলিয়ন স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক মানুষ সহ কয়েক মিলিয়ন মানুষ টীকাবিহীন রয়ে গেছে। যার ফলে করোনা ভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ তাদের জন্য মারাত্মক এবং ঝুঁকিপূর্ণ।" তাঁর মতে, "শুধুমাত্র বিশ্বের মোট ৫৮টি দেশ ৭০ শতাংশ ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করতে পেরেছে। কেউ কেউ বলছে যে, নিম্ন আয়ের দেশগুলির পক্ষে এটি করা সম্ভব নয়।"

WHO-এর প্রধানের মতে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপগুলিকে টীকাপ্রদানের পাশাপাশি নজরে রাখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ঘেব্রেইসাস, রুয়ান্ডার উদাহরণ দিয়ে বলেছেন যে, সেখানে করোনার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার হার এখন ৬৫ শতাংশের উপরে এবং সেটা আরও বাড়ছে।

ফাইল ছবি
Covid-19: শেষ ২৪ ঘণ্টায় বাড়লো কোভিড সংক্রমণ, শেষ ১০০ দিনে সর্বোচ্চ

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in