PM CARES for Children Scheme: পিএম কেয়ার্সে কোভিডে অনাথ হওয়া হাজার হাজার শিশুর আবেদন খারিজ

People's Reporter: রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশ এই তিন রাজ্য মিলিয়ে ৪০৭১টি আবেদন জমা পড়েছিল। রাজস্থান থেকে ১৫৫৩, মহারাষ্ট্র থেকে ১৫১১ এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে ১০০৭টি আবেদন জমা পড়ে।
নরেন্দ্র মোদী
নরেন্দ্র মোদীছবি - সংগৃহীত
Published on

পিএম কেয়ার্স ফর চিলড্রেন প্রকল্পে জমা পড়া অর্ধেকের বেশি আবেদন খারিজ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই তথ্য পেশ করেন আধিকারিকরা। ঠিক কী কারণে এই বিপুল পরিমাণ আবেদন বাতিল হয়েছে তা এখনও অজানা।

কোভিডকালে অভিভাবক হারানো শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ঘটা করে পিএম কেয়ার্স ফর চিলড্রেন প্রকল্প চালু করেছিল মোদী সরকার। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়, মোট ৯৩৩১টি আবেদন জমা পড়েছিল এই প্রকল্পে। ৩৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থেকে আবেদনগুলি জমা পড়ে। যার মধ্যে ৪৭৮১টি আবেদনপত্র গৃহীত হয়নি। ৩২টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ৪৫৩২টি আবেদনপত্র গৃহীত হয়।

রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশ এই তিন রাজ্য মিলিয়ে ৪০৭১টি আবেদন জমা পড়েছিল। রাজস্থান থেকে ১৫৫৩, মহারাষ্ট্র থেকে ১৫১১ এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে ১০০৭টি আবেদন জমা পড়ে। যার মধ্যে সবথেকে বেশি বাতিল হয়েছে রাজস্থান থেকে (১৩৪৩)। গৃহীত হয়েছে মাত্র ২১০টি আবেদন। মহারাষ্ট্রে বাতিল হয় ৬৫৬টি এবং গৃহীত হয় ৮৫৫টি আবেদন। উত্তরপ্রদেশে ৫৪০টি আবেদন বাতিল হয় এবং গৃহীত হয় ৪৬৭টি।

আধিকারিকরা জানান, প্রকল্পটি চালু হওয়ার এক বছর পরে, মন্ত্রক ৩৩টি রাজ্য এবং ৬১১টি জেলা থেকে ৯০৪২টি আবেদন পেয়েছিল। যার মধ্যে ২০২২ সালে ৪৩৪৫টি আবেদন গৃহীত হয়। গত বছর সংসদে প্রাক্তন নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানিয়েছিলেন, এই প্রকল্পের অধীনে ৪০০০-র বেশি অনাথ শিশুকে সাহায্য করা হচ্ছে।

কোভিড-১৯-র সময় বহু মানুষের মৃত্যু হয়। অনেক শিশু অনাথ হয়ে পড়ে। অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেন্দ্র সরকার পিএম কেয়ার্স ফর চিলড্রেন প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পে বলা হয়, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৩ সালের ৫ মে পর্যন্ত যে সকল শিশু তাদের বাবা-মা, দত্তক বাবা-মা বা অভিভাবকের সমান কাউকে হারিয়েছে তাদের সাহায্য করবে কেন্দ্র।

ওই প্রকল্পে আরও জানানো হয়, সকল শিশুর জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র। ২৩ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে আর্থিক সহায়তা করবে সরকার। ১৮-২৩ বছর বয়সীদের জন্য পোস্ট অফিসের মাসিক আয় প্রকল্পের অধীনে ১০ লক্ষ টাকা জমা করা হবে যাতে তারা মাসে মাসে আর্থিক সাহায্য পায়। এছাড়া নিকটবর্তী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন অথবা কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে সকলের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ২০ হাজার টাকার স্কলারশিপও বরাদ্দ করা হয়।

নরেন্দ্র মোদী
‘সেনা ও তাঁদের পরিবার বিজেপির ভুল নীতির ফলে ভুগছেন’ - লাগাতার জঙ্গি হামলায় কেন্দ্রকে তোপ রাহুলের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in