বিশ্বে সর্বাধিক যক্ষ্মা আক্রান্ত দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে শীর্ষ স্থানে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রকাশ করা গ্লোবাল টিউবারকিউলোসিস রিপোর্ট ২০২৪-এ উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা নিয়ে বেশ উদ্বেগে চিকিৎসক মহল।
২৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার যক্ষ্মা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেখানে দেখা যায় ২০২৩ সালে বিশ্বে প্রায় ৮২ লক্ষ মানুষ যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৫ লক্ষ। সেই বছরও সর্বাধিক আক্রান্ত ভারতে ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকে যক্ষ্মা আক্রান্তের পরিসংখ্যান রাখা শুরু করে হু। ২০২৩ সালে সর্বাধিক আক্রান্তের রেকর্ড তৈরি হয়েছে।
টিবি আক্রান্ত প্রথম ৩০টি দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভারত। ২০২৩ সালে বিশ্বের মোট যক্ষ্মা আক্রান্তদের মধ্যে ২৬ শতাংশই ভারতে। এরপর রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, আক্রান্ত হয়েছে ১০%। চীনে ৬.৮%, ফিলিপিন্স ৬.৮% এবং পাকিস্তানে ৬.৩% মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী যক্ষ্মা আক্রান্তদের মধ্যে ৫৫% পুরুষ, ৩৩% নারী এবং ১২% শিশু ও কিশোর-কিশোরী।
WHO-র ডিরেক্টর জেনারেল চিকিৎসক টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাসের কথায়, "যক্ষ্মা এখনও অনেক মানুষের মৃত্যুর এবং অসুস্থতার কারণ হতে পারে। দ্রুত শনাক্ত করা, সেই রোগকে প্রতিরোধ করার মতো সমস্ত সরঞ্জাম আমাদের কাছে আছে। কিন্তু তারপরেও এই পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সমস্ত সরঞ্জামের প্রয়োগ বৃদ্ধি করার জন্য এবং টিবি শেষ করার জন্য সমস্ত দেশকে নির্দেশ দিয়েছে"।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালে যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ১২ লক্ষ মানুষের। যার মধ্যে ১ লক্ষ ৬১ হাজার রোগী এইচআইভি পিজিটিভ ছিলেন। প্রাণঘাতী সংক্রামক হিসেবে করোনাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে যক্ষ্মা। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন