সোমবার রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন গৃহবধূ ও অন্যজন পড়ুয়া। নভেম্বর থেকে দেশের ২০টি কেন্দ্রে ডেঙ্গির ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে।
রাজ্যের ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। বেসরকারি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। সোমবার আরও দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন ভাঙড়ের বাসিন্দা গৃহবধূ মানোয়ারা বিবি এবং শান্তিপুরের কলেজ পড়ুয়া বছর ২১-র সুস্মিতা মণ্ডল।
শান্তিপুরের পুলতা গ্রামের বাসিন্দা সুস্মিতা মণ্ডল। ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁর জ্বর হয়। পরের দিন হবিবপুর যাদব দত্ত গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরে নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করলে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের অভিযোগ নার্সিংহোমের গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে সুস্মিতার।
আবার ভাঙড়ের বাসিন্দা মানোয়ারা বিবিও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটেও ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের উল্লেখ রয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। জ্বর না কমায় প্রথমে ভর্তি হন জিরেনগাছা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করান। কিন্তু বাঁচানো যায়নি ৩৩ বছরের মানোয়ারা বিবিকে।
ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগে রয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরও। প্রতিটি পুরসভাকে বাড়তি নজরদারি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরের পুজো কমিটিগুলিকেও নোটিশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পুজোর আগে সমস্ত জায়গায় পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, গোটা দেশেই ডেঙ্গু উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ডেঙ্গুপ্রতিরোধের জন্য দেশজুড়ে টীকাদানের ট্রায়াল শুরু হবে। আইসিএমআর (ICMR) এবং একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে নভেম্বর থেকে দেশের ২০টি কেন্দ্রে চলবে এই ট্রায়াল। ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়া হবে ডেঙ্গির টিকা। পশ্চিমবঙ্গে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে বেলেঘাটা নাইসেডে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন