কেন্দ্রীয় বাজেট সম্পর্কে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন যে, কেবল কেরালার জন্য নয়, সমগ্র দেশে কোভিড মহামারীর সমস্যা সমাধানের জন্য এই বাজেটে কিছুই নেই। তাঁর কথায় – “সবাই প্রত্যাশা করেছিল যে করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বাজেটে যা সামনে এসেছে তা পুরো সিস্টেমকে দুর্বল করে দিচ্ছে। এই সমস্যা মোকাবিলা করার মতো কিছুই নেই এই বাজেটে।”
পাশাপাশি তিনি বলেন, “কেন্দ্রের কাছ থেকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর জন্য সমস্ত রাজ্যের দাবি ছিল, কিন্তু বাজেটে সেসব উল্লেখ নেই। যা দেখা যাচ্ছে তা হল, রেলওয়ে এবং বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রে বিলগ্নিকরণ (Disinvestment) বাড়ানো হচ্ছে। যা একটি সত্যিকারের হুমকি, কারণ নব্য উদারনীতির এই নীতিগুলি জনগণের ব্যাপক ক্ষতি করে চলেছে।” কিন্তু বাজেটে থাকা কিছু নীতি অবশ্যই ভালো, যা কেরালা ইতিমধ্যেই শুরু করেছে। যার মধ্যে রয়েছে একটি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, অনলাইন শিক্ষা, এম-পরিষেবা এবং অপটিক্যাল ফাইবার প্রসারণ ইতিমধ্যেই কেরালাতে শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে কেরালার অর্থমন্ত্রী কে.এন. বালগোপাল বাজেটের সমালোচনার চেয়ে বেশি দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমি দুঃখিত যে বাজেট মহামারী সমস্যার সমাধানের কোনও কথা উল্লেখ নেই। তাঁর কথায়, “কৃষি খাতে বড় বরাদ্দের কথা উল্লেখ আছে বাজেটে, ১০০ দিনের কাজেও। কিন্তু আসল বিষয়টি হল এই দুটি খাতে বরাদ্দ গত বাজেটের তুলনায় কম। একইভাবে ভ্যাকসিনের জন্য মাত্র ৫০০০ কোটি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা গত বাজেটে ছিল ৩৯,০০০ কোটি টাকা।”
কেরালা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি কে. সুধাকরণ, যিনি একজন প্রবীণ লোকসভা সদস্যও, তিনি বলেছেন, “সীতারামন অসুস্থ ভারতীয় অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার আরও একটি সুযোগ নষ্ট করলেন। প্রতিটি স্কিমে উপসর্গ হিসাবে ‘PM’ এবং ‘শক্তি’ যোগ করলেই চাহিদা তৈরিতে তা সাহায্য করে না।”.
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন