উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন যে সারা বিশ্বে আয়ুর্বেদ একটি পছন্দের চিকিৎসা পদ্ধতি হয়ে উঠছে। বিশেষ করে মহামারীর পরে বিশ্ব আয়ুর্বেদের গুরুত্ব মেনে নিয়েছে। যোগী সোমবার গুরু গোরক্ষনাথ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের ‘দীক্ষা পাঠ্যক্রম’ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার সময় এই কথা বলেন।
তিনি বলেন – “আয়ুর্বেদের তুলনায় ভারত আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক অগ্রগতি করেছে। তবে, যখনই পৃথিবীতে কোনো মহামারী পরিস্থিতি আসে তখনই মানুষ সর্বদা আয়ুর্বেদকে গ্রহণ করে।” তিনি আরও বলেন – “আমরা দেখেছি যে চলমান কোভিড মহামারী চলাকালীন দেশে এবং সারা বিশ্বে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিকে লোকেদের ঝোঁক বেশি। দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আয়ুর্বেদ থেকে, অ্যালোপ্যাথি থেকে নয়।”
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন – “করোনা মহামারীর আগে বিশ্বের মানুষের মধ্যে আয়ুর্বেদের প্রতি একটা হীনমন্যতা ছিল। এ কারণে এই পদ্ধতির উন্নয়ন সঠিকভাবে করা সম্ভব হয়নি। এ ক্ষেত্রে গবেষণারও অভাব ছিল। এখন মুখ দ্রুত বদলে যাচ্ছে। পঞ্চকর্ম এবং অন্যান্য আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি সারা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। এই পদ্ধতিতে চিকিৎসার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। দেশে বৈদেশিক মুদ্রাও আসছে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি রপ্তানিতেও অবদান রাখছে।”
জনসংখ্যা ২৫ কোটি। করোনার সময় ইউপিতে প্রায় ২৩ হাজার ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সংখ্যাটা আরও বেশি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। গঙ্গায় মৃতদেহ ভাসতে দেখা গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের গঙ্গায়। সেই নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেন - এই সংক্রমণে, ১২ কোটি জনসংখ্যার মহারাষ্ট্রে এক লাখেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে। শুধু তাই নয়, দুই কোটি জনসংখ্যার দিল্লিতে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। উত্তরপ্রদেশে আয়ুর্বেদ পদ্ধতিও করোনা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন