এখনও পর্যন্ত ১৮ কোটি দেশবাসী টিকা পেয়েছেন। কিন্তু আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াবে ৫১.৬ কোটিতে। গোটা দেশ হাসপাতালে বেড, অক্সিজেন, জরুরি ওষুধের আকাল দেখা দিয়েছে। তা নিয়ে কালোবাজারি চলছে। সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাচ্ছেন না। সেই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের এমনই আশার কথা শোনালেন।
গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। দাবি করেন, যেহেতু টিকার চাহিদা বাড়ছে, তাই জোগান বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হয়েছে। আগামী জুলাই মাসেই ৫১.৬ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন ছাড়াও রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই দেশের অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একাধিক দেশি ও বিদেশি ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।
১৮ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দিতে গেলে দেশে আড়াইশো কোটি ডোজের প্রয়োজন। সেই কারণে আমেরিকা, ইউরোপ এবং জার্মানির বেশ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এছাড়াও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনও স্টেজ তিন বা চার পর্যায়ের ট্রায়ালে আছে। পরীক্ষা হয়ে গেলে দু'এক মাসের মধ্যে সেই ভ্যাকসিনগুলিও চলে আসবে ভারতীয় বাজারে, এমনটাই মনে করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন