সারা দেশে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে একমাত্র অস্ত্র এখন ভ্যাকসিন। কিন্তু ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতার কারণে ১৩০ কোটির দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষই এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। করোনা মহামারী আসার পর ৬ মাস হল ভ্যাকসিন বাজারে এসেছে। এর মধ্যে মাত্র ৮টি রাজ্যের ১০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে ২ টি ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ করে।
ভ্যাকসিন ঘাটতির পরিমাণ অনেকটা নিম্নরূপ:
সবথেকে খারাপ অবস্থা বিহার, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডের। এখানে মোট চাহিদার থেকে ঘাটতির পরিমাণ যথাক্রমে-৭১%, ৬৬%, ৬৬%, ৬৪%, ৬২%। অন্যদিকে, তুলনায় ভালো অবস্থায় রয়েছে-কেরল, দিল্লি, পঞ্জাব, কর্নাটক ও গুজরাত। যেখানে ভ্যাকসিনের ঘাটতির পরিমাণ যথাক্রম ২২%, ২২%, ২৬%, ৩০%, ৩৭%।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংক্রান্ত এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ রাজ্যগুলোতেই কমপক্ষে ভ্যাকসিনের একটি ডোজ দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট বয়ঃসীমা গ্রুপের মধ্যে। এইসব রাজ্যের বেশিরভাগ বাসিন্দারই দুটি ডোজ দিতে পারেননি। উদাহরণস্বরূপ, হিমাচলপ্রদেশের ৬২ শতাংশের বেশি মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়া হলেও, মাত্র ১৪.৬৬ শতাংশ মানুষের দুটি ডোজ পাওয়া সম্ভব হয়েছে। কর্নাটকেও ৪.৭২ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৯.৩ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
জর্জ ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ-এর তরফে জানানো হয়েছে, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিলেই সংক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব। কিন্তু দেশে ভ্যাকসিনের ঘাটতির ফলে ডেল্টা স্ট্রেনের সংক্রমণের উদ্বেগ আরও বাড়ছে। কিন্তু ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতার কারণে বেশ কিছু রাজ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন