রাজ্যের বেসরকারী হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমগুলোতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ধারকদের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় এবং বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার জন্য সর্বাধিক ৫ হাজার টাকার সিলিং বেঁধে দিলো স্বাস্থ্য দপ্তর। এছাড়াও সমস্ত রোগীকে অবিলম্বে প্যাকেজের আওতায় আনবার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালগুলিকে জানান, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ধারকদের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করলে তাদের লাইসেন্স বাতিল সহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সতর্কবার্তার পরেই এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বেসরকারী হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "মাঝে মাঝে দেখা গেছে যে বেসরকারী হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমগুলি ক্লিনিকাল তদন্ত এবং রোগ নির্ণয়ের নামে বেশ কিছু অনির্দিষ্ট পরীক্ষা করে। এই কাজ আর করা যাবে না। হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমগুলি ক্লিনিকাল তদন্ত এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য সর্বাধিক ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবে এবং এর পরে রোগীকে একটি নির্দিষ্ট প্যাকেজের আওতায় আনতে হবে"।
আরও বলা হয়েছে, বহু সংখ্যক প্যাকেজ থাকা সত্ত্বেও, অনেক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বহু রোগীকে অনির্দিষ্ট প্যাকেজে রেখে চিকিৎসা করে। যেগুলো অনায়াসেই নির্দিষ্ট প্যাকেজের অধীনে রাখা যায়। পরামর্শ অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কার্ড না থাকে সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী ওয়েব পোর্টালে সুবিধাভোগীর আধার নম্বর দিয়ে অনুসন্ধান করতে হবে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পরামর্শ অনুসারে, "যদি একজন ব্যক্তির কোনো স্বাস্থ্য কার্ড না থাকে, তাহলে হাসপাতালেই ওই ব্যক্তির সনাক্তকরণ/নতুন কার্ড ইস্যু করার ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্ত পিপিপি ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও একই ধরনের ব্যবস্থা রাখা উচিত।"
উল্লেখ্য, গত ৩০শে ডিসেম্বর, ২০১৬-তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চালু করা স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে সেকেন্ডারি এবং টারশিয়ারি পরিচর্যার জন্য পরিবার প্রতি বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত একটি মৌলিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়৷ এই স্কিমের অধীনে কমপক্ষে ১৯০০ টি প্যাকেজ রয়েছে। যেখানে প্রতি পরিবার তালিকাভুক্ত যে কোনও হাসপাতাল থেকে বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নগদহীন চিকিত্সা পেতে পারে।
রাজ্যের অর্থ বিভাগের একটি অনুমান অনুসারে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যসাথীর দাবি মেটাতে প্রতিদিন ৮ কোটি এবং প্রতি মাসে ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে। স্বাস্থ্যখাতের অধীনে প্রায় ২,৩৩০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোম রয়েছে, যার মোট গ্রাহক প্রায় সাড়ে আট কোটি।
(Except for the headline, this story has not been edited by People's Reporter and is translated and published from a syndicated feed.)
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন