মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়ের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। আর এই প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন সময় রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সেই হাসপাতালগুলিকে প্রকল্প চালুর প্রথম দিকে শুধু জরিমানা করা হলেও, পরবর্তীতে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য।
যে সমস্ত হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, কখনও স্বাস্থ্য দফতর, কখনও স্বাস্থ্য কমিশন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে রোগী ভর্তি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আবার কোনও হাসপাতালকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প থেকে বাদও দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সেই তথ্য তোলা হয়েছে স্বাস্থ্যসাথীর ওয়েবসাইটে। দেখা যাচ্ছে বর্তমানে এরকম হাসপাতালের সংখ্যা ১৪২।
স্বাস্থ্য দফতরের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ পোর্টালে এই হাসপাতালগুলিকে ‘ইনঅ্যাক্টিভ’ হাসপাতালের তালিকায় রাখা হয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগণা, কলকাতা, হাওড়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ সহ আরও অন্যান্য জেলা মিলিয়ে মোট ১৪২টি হাসপাতালের মধ্যে বেশ কিছু হাসপাতাল শাস্তির মেয়াদ পূর্ণ করে আবার চালু হয়েছে। তবে চালু হলেও এখনও কিছু কিছু হাসপাতাল এই প্রকল্পের গ্রেড তালিকায় 'সি'-তেই রয়ে গেছে।
এই বিষয়ে এক স্বাস্থ্যকর্তা জানিয়েছেন, ওই তালিকায় এমন হাসপাতালও রয়েছে, যারা একাধিক বার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নথিভুক্ত হওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে আবেদন করেছে। কিন্তু সেই আবেদন আটকে দেওয়া হয়েছে। কারণ, এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্তির জন্য একটি হাসপাতাল একবারই আবেদন করতে পারে।
তবে রাজ্যের এই পদক্ষেপের ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েছে বলে মত একাধিক নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের। এক নার্সিংহোমের চেয়ারম্যান এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘যারা নিয়ম ভেঙেছে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ করুক সরকার। কিন্তু তা করতে গিয়ে যাতে সাধারণ নার্সিংহোম ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে দিকেও লক্ষ রাখতে হবে।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন