দেশে কোভিড বিধি কার্যকর থাকলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু চিনে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ভারতবাসীকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার। জনবহুল জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, দেশের কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে প্রতি সপ্তাহে বৈঠকে বসবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
বুধবার, করোনা ভাইরাস মোকাবিলার বিষয়ে শীর্ষ আধিকারিক এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডাভিয়া। বৈঠক শেষে ট্যুইটে তিনি জানান, "বেশ কিছু দেশে কোভিড ১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ ফের বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে, আজ বিশেষজ্ঞ এবং কর্মকর্তাদের সাথে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। কোভিড এখনও শেষ হয়নি। সেইজন্যই আমি সবাইকে সতর্ক করতে এবং নজরদারি জোরদার করতে বলেছি। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত।"
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষার ব্যাপারটির দিকে যেমন নজর দেওয়ার কথা উঠেছে। সেই সাথে, আসন্ন বড়দিন, ৩১ ডিসেম্বর এবং ইংরেজি নববর্ষ নিয়ে চিন্তিত রয়েছে কেন্দ্র। যদিও সেসব ক্ষেত্রে এখনই কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। কেন্দ্রের দাবি, দেশের একটা বড় অংশের জনগণ এখনও বুস্টার ডোজ নেয়নি।
প্রসঙ্গত, প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে সম্প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি শিথিল করেছিল চিনের প্রশাসন। এরপর থেকেই সেখানে ক্রমশ বাড়তে থাকে করোনার দাপট। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে মৃতের সংখ্যা। অন্যদিকে, চিনের পাশাপাশি কোভিডের সংক্রমণ বেড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াতেও।
উল্লেখ্য, বুধবার ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এই মর্মে রাহুলকে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। কোভিড বিধি না মানলে পদযাত্রা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মোদী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন