পাঁচ বছর পর ফের ফিরল বার্ড ফ্লুর আতঙ্ক। এবার রাজ্যে আক্রান্ত চার বছরের এক শিশু। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এইচ৯এন২ বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সংক্রামক প্রজাতির সংক্রমণ হয়েছে শিশুটির শরীরে। তবে বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে বলে জানা গেছে স্বাস্থ্যভবন সূত্রে।
উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা ওই শিশু। গত ফেব্রুয়ারিতে ধুম জ্বরের জন্য শিশুটিকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ছিল শ্বাসকষ্ট ও পেটে ব্যাথার লক্ষণও। শিশুটির নাক ও গলা থেকে নেওয়া নমুনা কলকাতার একটি ভাইরাস রিসার্চ সেন্টারে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানেই ধরা পড়েছে শিশুটির শরীরে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের এইচ৯এন২ প্রজাতির সংক্রমণ হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির বাড়িতে হাঁস ও মুরগির খামার ছিল। সেখান থেকেই সংক্রমিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তার পরিবারের কেউ আক্রান্ত নন। উল্লেখ্য, এর আগে প্রথম বার ২০১৯ সালে এক জনের শরীরে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। এটি নিয়ে দ্বিতীয় ঘটনা।
কতটা বিপজ্জনক এই বার্ড ফ্লু ভাইরাস?
বার্ড ফ্লু হল একটি বিশেষ ধরণের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। একে বলে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা। এই ভাইরাসের অনেক রকমের প্রজাতি আছে। তবে সব ভাইরাস যে মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে, তেমনটাও নয়। এর আগে ভারতে এইচ৫এন১ এবং এইচ৭এন৯ ভাইরাস ছড়িয়েছিল আর বর্তমানে এইচ৯এন২।
আগে মানুষের ধারণা ছিল, মানুষের শরীরে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে না। তবে ১৯৯৭ সালে হু প্রথম মানুষের শরীরে এই ভাইরাল স্ট্রেন চিহ্নিত করেছিল। মৃত পাখির দেহাবশেষের সংস্পর্শে এসেই মানুষের শরীরে সেই ভাইরাল স্ট্রেন ছড়িয়েছিল বলেই মনে করা হয়েছিল।
চিকিৎসকদের মতে, এই ভাইরাস করোনার মতোই দ্রুত সংক্রমিত হয়। আর এই ভাইরাসের উপসর্গ করোনার মতোই। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, পেটব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। চোখের সংক্রমণও হতে পারে। প্রথমে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ছড়ায়। তারপরে সারা শরীরে। থুতু বা লালার মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এই ভাইরাস, ধারণা চিকিৎসকদের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন