রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্তের শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে জ্বর-সর্দি-কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট থাকছে। পরিসংখ্যান বলছে, রবিবার পর্যন্ত ১১ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে। চিকিৎসকদের মতে মাস্ক পরার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধের জন্য শিশুদের উপযুক্ত খাবার দেওয়াও প্রয়োজন।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অ্যাডিনো ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও এখনই আতঙ্কের কিছু নেই। চিকিৎসকদের মতে, আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই রোগ প্রতিরোধের উপকরণ আছে। দৈনন্দিন আমরা যে খাবার খাই সেগুলিই পরিমাণ মতো ও নিয়মিত খাওয়া দরকার। আমাদের খাবারে তেতো অর্থাৎ উচ্ছে, করলা বা নিম পাতা থাকা দরকার। তেতো আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া মাছ, মাংস, মুসুর ডাল, সয়াবিন, ডিম প্রভৃতি প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়াও দরকার।
এছাড়া রোজ খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেতে হবে। এর ফলেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে মানবদেহে। খাবারের তালিকায় টক দই রাখাও উচিত। টক দইয়ে প্রোবায়োটিক উপাদান আছে। যা লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। সম্ভব হলে কাঁচা হলুদ বেটে দুধের সাথে মিশিয়ে খান। দুধ দিয়ে না খেলে টুকরো টুকরো করে চিবিয়ে খেয়ে নিন। আর বেশি করে জল খেতে হবে। শরীরের জলের পরিমাণ কমতে দেওয়া যাবে না। জলের পরিমাণ কমে গেলেই রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, চিকিৎসকদের মতে অ্যাডিনো ভাইরাস থেকে বাঁচতে করোনা বিধির মতোই দূরত্ব বজার রাখতে হবে। কারণ সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি। যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের থেকে দূরে থাকা উচিত। প্রয়োজনে মাস্ক পরতে হবে। অধিক ভিড়ে যাবেন না। জ্বর হলে দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে। কোনো মতেই অবহেলা করা চলবে না।
রোগটি মূলত বায়ুবাহিত। শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে পেট, চোখ ও স্নায়ুতন্ত্রে ক্ষতি করে। আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যেই বিভিন্ন উপসর্গ চোখে পড়ে। জ্বরের সাথে বমি বমি ভাব থাকবে। জ্বর কখনও থাকবে। আবার কখনও চলে যাবে। জেলা হাসপাতালগুলির জেনারেল বেড থেকে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু), সবজায়গাতেই শিশুদের ভিড় বাড়ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন