পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিরুদ্ধে থাকা বিভ্রান্তকর ও মিথ্যা বিজ্ঞাপন মামলার শুনানিতে সংস্থার কর্ণধার যোগগুরু রামদেবকে ফের তীব্র ভর্ৎসনা করলো সুপ্রিম কোর্ট। রামদেবকে তাঁর "দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের" জন্য জনসাধারণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর জন্য এক সপ্তাহের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। রামদেবকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলে, “আপনি অতটাও নির্দোষ নন।“
বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চে মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হচ্ছিল। আগামী ২৩ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রামদেব এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বালকৃষ্ণ আচার্য বলেন, “আমরা যে ভুলগুলি করেছি তার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছি আমরা। ওই সময় আমরা যা করেছি তা সঠিক ছিল না। ভবিষ্যতে আমরা তা মাথায় রাখব।“
এরপর আদালত বলে, “আপনি জানতেন আপনি দুরারোগ্য ব্যাধি নিরাময় নিয়ে এভাবে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন না। এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। আইন সবার জন্য সমান। আপনি যোগব্যায়াম নিয়ে গোটা বিশ্বে প্রচার করেছেন, সেটি খুব ভালো কথা। কিন্তু আপনি অ্যালোপ্যাথিকে হেয় করতে পারেন না।“
বিচারপতি কোহলি বলেন, “আপনার ক্ষমা গ্রহণ করব কি না, আমরা এটি নিয়ে চিন্তা করব। আপনি বারবার আমাদের আদশ লঙ্ঘন করেছেন।“
বিচারপতি কোহলির এই মন্তব্য সমর্থন করে বিচারপতি আমানউল্লাহ বলেন, “আপনি হৃদয় থেকে ক্ষমা চাননি।“
উল্লেখ্য, রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। আইএমএ-র অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি এবং চিকিৎসকদের অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনে রোগ নিরাময় নিয়ে বিভ্রান্তিকর দাবি করে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
এর আগেও এই মামলার প্রতি শুনানিতে রামদেবের তীব্র সমালোচনা করেছে শীর্ষ আদালত। একাধিকবার ক্ষমাও প্রার্থনা করেছেন তিনি। প্রতিবার আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন