নির্বাচনের আগে রাজস্থানের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১০৫ কোটি টাকার বেআইনি সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে বিভিন্ন এনফোর্সমেন্ট সংস্থাগুলি। দেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই গত ১১ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ অবৈধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে বলেই জানা গিয়েছে কমিশন সূত্রে।
বুধবার মরুরাজ্যের এনফোর্সমেন্ট সংস্থাগুলির রাজ্যস্তরের বৈঠকে এনফোর্সমেন্ট সংস্থাগুলির এই কাজের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি কমিশনার অজয় ভাড়ু।
বুধবার জয়পুরে আসন্ন নির্বাচনের ভোটাভুটির উপর তীক্ষ্ণ নজরদারি চালানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের তৈরি অ্যাপ ESMS-এর সঙ্গে যুক্ত রাজ্যস্তরের এনফোর্সমেন্ট সংস্থাগুলির নোডাল আধিকারিক, জেলাস্তরের নোডাল আধিকারিক, জেলাস্তরের ইলেকশন অফিসার ও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পুলিশের এসপিদের নিয়ে একটি বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন অজয় ভাড়ু।
সেই বৈঠকেই তিনি জানিয়েছেন, গত ৯ অক্টোবর রাজ্যে কোড অফ কন্ডাক্ট জারি করা হলে রাজস্থানের এনফোর্সমেন্ট সংস্থাগুলি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে মাত্র ৮ দিনে ১০৫ কোটি টাকার অবৈধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে নতুন রেকর্ড গড়েছে।
বৈঠকে এনফোর্সমেন্ট সংস্থাগুলির যথেষ্ট প্রশংসা করে ভাড়ু জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার কমিশনের নির্দেশে এনফোর্সমেন্ট সংস্থাগুলি ভালোই কাজ করেছে। রাজ্যের জয়পুর, উদয়পুর, শ্রীগঙ্গানগর, ভিলওয়াড়া, চিতরগড়, যোধপুর জেলা থেকেই সবচেয়ে বেশি বেআইনি সামগ্রি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি ECI-এর ডেপুটি ইলেকশন কমিশনারের।
জেলাস্তরের নোডাল অফিসাররা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। এদিনের বৈঠকে নির্বাচনে স্বচ্ছতা বাড়াতে ESMS (Electoral Seizure Management System) মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইরবাচন কমিশনের ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তব, সহকারী সচিব অনুপ কুমার, ASO সচিন জিন্দাল, সলিউশন ডেলিভারি বিভাগের অধিকর্তা সন্তোষ কুমার পাথারিয়া-সহ অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন