চতুর্থ দফা ভোটের আগের দিন রাতে রক্তাক্ত বোলপুর লোকসভার অন্তগর্ত কেতুগ্রাম। খুন করা হয় এক তৃণমূল কর্মীকে। এই ঘটনায় সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ ২ জনকে।
রবিবার রাতে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কেতুগ্রামে তৃণমূল কর্মী মিন্টু শেখকে রাস্তার উপর খুন করা হয়। ভোটের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি বলে জানা গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার এই ঘটনায় ভুলন শেখ এবং শামসুর শেখ নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ভুলন শেখ কেতুগ্রামের সিভিক ভলান্টিয়ার। তবে বাকি ৮ জন এখনও অধরা।
মিন্টু শেখ খুনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সিপিআইএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল বারবার। কিন্তু ওই দুই অভিযুক্তের মধ্যে ভুলন শেখের প্রতিবেশীদের দাবি, ভুলন শেখ বেশ কয়েকবছর ধরেই তৃণমূল সমর্থক। এবং কেতুগ্রাম থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার।
মৃত মিন্টু শেখের স্ত্রীর দাবি, “ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার ভুলন শেখের সঙ্গে পুরানো শুত্রুতা ছিল মিন্টুর।“ তবে সেই শত্রুতা রাজনৈতিক নাকি পারিবারিক তা স্পষ্ট নয়। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সিআইডি তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক সিপিআইএম কর্মী জানিয়েছেন, মিন্টু শেখের খুন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই হয়েছে। এর সঙ্গে সিপিআইএমের কোনো যোগাযোগ নেই। এবং যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা দুজনেই তৃণমূল সমর্থক।
তবে মিন্টু শেখের খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই খুনের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, অর্থাৎ ব্যক্তিগত শত্রুতা, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নাকি কোনো বিরোধী শক্তি রয়েছে সবটাই তদন্ত করছে পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন