মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ৪০ জন দলীয় নেতাকে বহিষ্কার করল বিজেপি। এঁদের সকলেই দলবিরোধী কাজের সাথে যুক্ত বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এই তালিকায় একাধিক প্রভাবশালী নেতাও রয়েছেন।
মহারাষ্ট্র বিজেপির সম্পাদক মুকুল কুলকার্নি জানান, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ৩৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৪০ জন বিজেপি নেতানেত্রীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন শোভা বনশেট্টি (সোলাপুর সিটি উত্তর), বিশাল পরব (সাওয়ান্তওয়াড়ি), দিলীপ কান্দকুর্তে (নান্দেদ দক্ষিণ), জগদীশ গুপ্তা (অমরাবতী), শঙ্কর মাধবী (আমগাঁও) - এঁরা সকলেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। জালনার অশোক পাঙ্গারকর, জলগাঁও শহরের ময়ূর কাপসের মতো প্রভাবশালীরাও রয়েছেন বহিষ্কৃতদের তালিকায়।
এছাড়া নান্দেদ দক্ষিণের সুনীল মোরে এবং সজয় ঘোগারেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে জোট প্রার্থী শিবসেনার (একনাথ শিন্ডে) আনন্দ তিড়কে পাতিলের বিরুদ্ধে প্রচার করার অভিযোগ উঠেছে।
পাশাপাশি দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার আগেই দল ছেড়ছেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র হীনা গাভিত এবং কিরণ দাগাড়ে। হীনা গাভিত শাসক জোট মহাযুতি প্রার্থী অমশ্যা পারভির বিরুদ্ধে আক্কালকুভা কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনের আগে দলবিরোধী কাজের জন্য দল থেকে নেতা নেত্রীদের বহিষ্কার এই নতুন নয়। এর আগেও বহুবার একাধিক নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। তাতে অবশ্য লাভই হয়েছে দলের। ভোটারদের কাছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। তবে হিমাচল প্রদেশে এই 'নীতি'তে ধাক্কা খায় বিজেপি। ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস।
শুধু বিজেপিই নয় দলবিরোধী কাজের জন্য দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন এক শিবসেনা (একনাথ শিন্ধে গোষ্ঠী) নেতা। কল্যাণ পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন মহেশ গায়কোয়াড়। এই কেন্দ্রে জোট প্রার্থী বিজেপির সুলভা গায়কোয়াড়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন