আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু লোকসভা নির্বাচন। আর প্রথম দফাতেই ভোট হবে জলপাইগুড়িতে। তার আগে বিজেপির নেতা-কর্মীর গাড়ি থেকে মিলল নগদ ৯ লক্ষাধিক টাকা। আর এই নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের দাবি, আগামী ৪ জুন, বাংলা থেকে বিজেপির বিসর্জন অনিবার্য।
উল্লেখ্য, রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালায় আয়কর দপ্তর। যদিও সেই তল্লাশি থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। এরপর গোটা ঘটনাটিকে বিজেপির চক্রান্ত বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। আর সেই প্রসঙ্গেই শনিবারের ওই টাকা উদ্ধারের প্রসঙ্গ তোলে রাজ্যের শাসকদল।
তৃণমূল নিজেদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, “জলপাইগুড়িতে বিজেপির নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে নগদ ৯ লক্ষ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া টাকার কোনো নথি দেখাতে পারে নি। বাংলা-বিরোধী বিজেপি। টাকা দিয়ে মানুষকে কেনা সম্ভব নয়। আগামী ৪ জুন, বিজেপির বিসর্জন অনিবার্য।“
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে জলপাইগুড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ ক্রান্তি মসজিদের কাছে নাকাচেকিংয়ের সময় একটি গাড়িকে আটকানো হয়। সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। গাড়িটির মালিক রাকেশ নন্দী। তিনি মাল বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির কনভেনর।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, ওই নগদ টাকার প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারেননি রাকেশ নন্দী। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশকে রাকেশ জানায়, দলীয় কর্মসূচিতে খরচের জন্য জলপাইগুড়ির বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি দীপা বণিকের কাছ থেকে ওই টাকা নিয়েছিলেন তিনি।
তবে ওই দিন শুধু রাকেশের গাড়ি থেকে নয়, দীপার গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া ৯ লক্ষ ৫ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
এরপরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে তোপ দাগছে তৃণমূল। যদিও জেলা বিজেপির বক্তব্য, গোটা বিষয়টিই তদন্ত সাপেক্ষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন