আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পাঞ্জাব, গুজরাট, গোয়া, আসাম-সহ বিভিন্ন রাজ্যে আম আদমি পার্টি একা লড়ার বার্তা দিলেও, দিল্লিতে সমঝোতার পথ খোলা রেখেছিল কেজরিওয়ালের দল। আর এবার রাজধানীতে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার পথ সক্রিয় করল আপ। সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে তিনটি আসন কংগ্রেসকে ছাড়ার বার্তা পাঠিয়েছে আপ।
বুধবার আপের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের হাইকমান্ডকে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিন এই নিয়ে আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, ‘‘দেখা যাক আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে কী হয়।’’ তবে কেজরিওয়ালের মতে, আসন সমঝোতার এই আলোচনা আরও আগে হয়ে যাওয়া উচিত ছিল।
এর আগে আপ ও কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে জানুয়ারী মাসে এক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে আপের তরফ থেকে একটি বা দু’টি আসন ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। যদিও কংগ্রেস তিনটি আসনের দাবিতেই অনড় ছিল।
জানুয়ারীর আসন সমঝোতার সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল - রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদ এবং এআইসিসির প্রাক্তন মুখপাত্র মোহন প্রকাশ। সঙ্গে ছিলেন দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অরবিন্দর সিংহ লভলীও। অন্য দিকে, আপের তরফে রাজ্যসভা সাংসদ সন্দীপ পাঠক এবং দিল্লির দুই মন্ত্রী আতিশী এবং সৌরভ ভরদ্বাজ সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আপ শাসিত দিল্লির সাতটির মধ্যে সাতটি আসনেই জিতেছিল বিজেপি। পাঁচ আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল কংগ্রেস এবং দুটি আসনে আপ। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৯,০৮,৫৪১ (৫৬.৯%)। কংগ্রেস পেয়েছিল ১৯,৫৩,৯০০ (২২.৫%) এবং আপ পেয়েছিল ১৫,৭১,৬৮৭ (১৮.১%) ভোট।
তবে ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে সেই ছবি বদলে যায়। সেবার দিল্লির মোট ৬২ আসনে জয়ী হয় আপ এবং ৮ আসনে জয়ী হয় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপরে, গত বছর পুরসভা ভোটেও জিতেছে আপ। এই পরিস্থিতিতে আপ ও কংগ্রেসের জোট হলে বিজেপির জন্য তা কিছুটা চাপের হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন