জোটের জট খুলতে গিয়েও খুললো না পাঞ্জাবে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ার বার্তা দিচ্ছে কংগ্রেস ও আপ হাইকম্যান্ড। সেখানে রাজ্যের ১৩টি লোকসভা আসনেই আপের প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। তাহলে কি পাঞ্জাবে 'ইন্ডিয়া' মঞ্চের প্রভাব পড়বে না?
পাঞ্জাবে 'ইন্ডিয়া' মঞ্চের ভবিষ্যত যে অনিশ্চিত, সেই জল্পনা আরও উস্কে দিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মান। বুধবার তিনি বলেন, "১৩ আসনের মধ্যে সবক'টি জিতে পাঞ্জাবে ইতিহাস রচনা করবে আপ। এই রায় হবে রাজ্য সরকারের পক্ষে জনগণের রায়। আর বিরোধীরা তাদের পাঞ্জাব বিরোধী নীতির কারণে প্রত্যাক্ষিত হবে"।
আম আদমি পার্টি যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবে একলা চলো নীতিতেই ভরসা রাখছে তা মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট। কিন্তু কিছুদিন আগেই দিল্লিতে আপ এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠক করে পাঞ্জাব সহ মোট ৫ রাজ্যে এক সাথে লড়ার বার্তা দিয়েছিল।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী লোকসভা নির্বাচনে একা লড়ার বার্তা দিলেও চন্ডীগড়ে মেয়র নির্বাচনে একসাথে লড়ার কথা রয়েছে আপ ও কংগ্রেসের। আপ প্রার্থী কুলদীপ কুমার টিটা মেয়র পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী গুরপ্রীত সিং গাবি লড়বেন সিনিয়র ডেপুটি মেয়র ও নির্মলা দেবী লড়বেন ডেপুটি মেয়র পদের জন্য। ১৮ জানুয়ারি এই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও প্রিজাইডিং অফিসারের অসুস্থতার কারণে সেই নির্বাচন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচনে যদি দুই দল এক হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে তাহলে লোকসভা নির্বাচনে করতে অসুবিধা কোথায় ?
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই আপ নেতা গোপাল রাই জানিয়েছিলেন, "কংগ্রেসের সাথে আলোচনা হয়েছে। দিল্লি, পাঞ্জাব, গোয়া, হরিয়ানা এবং গুজরাটে জোট করেই আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবো। কংগ্রেসও রাজি হয়েছে। যা লোকসভা নির্বাচনের জন্য সত্যিই ইতিবাচক দিক। তবে আসন বন্টন নিয়ে এখনই চূড়ান্ত কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আমরা জোট করেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। পরবর্তী বৈঠকে আসন নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা যখন জোটে থাকবোই তখন আমাদেরকেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। উভয় দলই সিদ্ধান্ত নেবে"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন