প্রথম দফার ভোট পর্ব শেষ। আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোট। জোরকদমে প্রচার সারছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এবার ভোট প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধী ও গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগেন তিনি।
শনিবার নান্দেদ এবং হিঙ্গোলি আসন থেকে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচারের জন্য মহারাষ্ট্রের নান্দেদে একটি জনসভা করেন মোদী। সেই জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মোদী বলেন, “প্রথম দফার যা তথ্য পেয়েছি তাতে বোঝা যাচ্ছে, ভোট হয়েছে একতরফা এনডিএ’র পক্ষে।”
এরপরেই সেই সভা থেকে সরাসরি রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে মোদী বলেন, “কংগ্রেসের শাহজাদা আগেরবার আমেঠি থেকে হেরেছে। এবার ওয়াইনাড থেকেও হারবে। ২৬ এপ্রিলের পর ওকে আবার নিরাপদ আসন খুঁজতে হবে।”
এরপরে গান্ধী পরিবারকে নিশানা করেন মোদী। সোনিয়া গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইন্ডিয়া ব্লকের নেতারা আর লোকসভায় লড়াই করার সাহস দেখাতে পারছেন না। রাজ্যসভায় চলে যাচ্ছেন। অবস্থা এত খারাপ যে গান্ধী পরিবার প্রথমবার কংগ্রেসকেও ভোট দিতে পারবে না কারণ ওঁদের ওখানে কংগ্রেসের কোনও প্রার্থী নেই।”
উল্লেখ্য, দিল্লির যে আসনে গান্ধী পরিবার ভোট দেয়, সেটা এবার আম আদমি পার্টিকে ছেড়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, শারীরিক অসুস্থতার জন্য এবার ভোটে লড়ছেন না সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেস সূত্রে আরও খবর, ২৬ এপ্রিল কেরালার ওয়াইনাডে ভোট শেষ হওয়ার পর আমেঠি থেকে মনোনয়ন পত্র দিতে পারেন রাহুল গান্ধী। মনে করা হচ্ছে সেটা আঁচ করেই রাহুলকে আক্রমণ করেছেন মোদী।
ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ করে মোদী আরও বলেন, এই জোটের কোনো মুখ নেই। তাই মানুষ জানেন কাদের ভোট দেবেন। মোদী বলেন, “তারা যে কোনও দাবি করতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হল যে কংগ্রেস নেতারা ভোট ঘোষণার আগেই পরাজয় মেনে নিয়েছেন।" প্রধানমন্ত্রী এদিন বিরোধী দলগুলিকে স্বার্থপর হিসাবে অ্যাখ্যায়িত করেন।
রাহুলও পালটা দিতে ছাড়েননি। প্রথম দফার ভোটের পর তিনি ফের বলেছেন, "লোকসভায় গোটা দেশে বিজেপি ১৫০ পেরোবে না।” এর আগে অখিলেশ যাদবকে পাশে নিয়ে এই দাবি করেছিলেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন