তিরুবনন্তপুরমের বিজেপি প্রার্থী রাজীব চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য বিকৃতির অভিযোগ আনলো কংগ্রেস। ওই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন শশী থারুর। যা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করলো নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, নির্বাচনী হলফনামায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রাজীব চন্দ্রশেখর নিজের আয় দেখিয়েছেন মাত্র ৬৮০ টাকা। যেখানে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তাঁর আয় হয়েছে ১৭.৫ লক্ষ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে আয় হয়েছিল ৫.৫০ লক্ষ টাকা। যার জেরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া মোট ২৮ কোটি টাকার সম্পত্তির উল্লেখ করেছেন তিনি। যার মধ্যে নগদ টাকা, সমবায় সমিতি, ব্যাঙ্কে জমানো টাকা, বিভিন্ন শেয়ার সমস্তকিছুই নথিভুক্ত আছে। এছাড়া বেঙ্গালুরুতে আনুমানিক ১৪.৪০ কোটি টাকা মূল্যের একটি অকৃষি জমিরও উল্লেখ করেছেন চন্দ্রশেখর।
প্রথমে কংগ্রেসের তরফ থেকে চন্দ্রশেখরের হলফনামা নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। এরপর সিপিআইএম নেতা তথা কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এই নিয়ে অভিযোগ জানান। এপ্রিল মাসের শুরুতেই মনোনয়ন জমা দেন রাজীব চন্দ্রশেখর। কংগ্রেসের অভিযোগ, হলফনামায় সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে ভুল তথ্য পেশ করেছেন তিনি। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেসকে গরমিল খোঁজার দায়িত্ব দেয় নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জনপ্রতিনিধি আইন, ১৯৫১ সালের অধীনে অভিযুক্ত প্রার্থীর ছ'মাসের কারাদণ্ড অথবা জরিমানা হতে পারে।
ওই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন শশী থারুর। তিনি স্থাবর অস্থাবর মিলিয়ে ৫৫ কোটি টাকার সম্পত্তির উল্লেখ করেছেন। কিন্তু চন্দ্রশেখর তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি সবকিছু আইনি নিয়ম মেনেই করেছি। কোনো অনিয়ম নেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন