তমলুকে ফের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে ‘গো ব্যাক’ পোস্টার পড়ল। যদিও এনিয়ে এখনও অভিজিৎ গাঙ্গুলির কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে সিপিআইএম প্রার্থী সায়ন ব্যানার্জি।
বৃহস্পতিবার, রামনবমীর দিন বিকেলে তমলুকের ময়নার বলাইপন্ডা এলাকার বিভিন্ন গাছে এরকম পোস্টার লক্ষ্য করা যায়। পোস্টারে লেখা ‘বিচারপতির কলঙ্ক অভিজিৎ গাঙ্গুলী গো ব্যাক’। পোস্টারের নীচে তিনজনের নামও লেখা রয়েছে। এই পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
প্রাক্তন বিচারপতির নামে এই পোস্টার নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সিপিআইএম। তমলুকের সিপিআইএম প্রার্থী সায়ন ব্যানার্জি বলেন, “এ ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। কি গো ব্যাক! উনি এলেন কখন? হাইকোর্টের চেয়ার থেকে নেমে কারোর মনে হল যায় একটু রাজনীতি করে আসি! তমলুকের মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী কত কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটেছেন। যদি পাঁচ কিলোমিটার হয়, তমলুকের মানুষের উদ্দেশ্যে বলুন, হ্যাঁ আমি বিজেপির প্রার্থী। জমিদারিটা ছেড়ে পাঁচ কিলোমিটার হেঁটেছি।“
অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে তোপ দেগে সায়ন আরও বলেন, “যে ভাইপোকে জেলে ঢোকাবো বলে এতদিন ধরে বলে আসলো, সেই ভাইপো এখন ঢ্যাং ঢ্যাং করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভাইপোকে ভোটে হারাবো, ডায়মন্ড হারবারে বিশাল চমক দেব, বিজেপি এমন চমক দেওয়া প্রার্থী করেছে, প্রার্থী নিজেই চমকে গেছে। বিজেপির লোকজন প্রথম নাম শুনছে। প্রতীক-উর যা করার তাই করবে। মূলত কথা খুব পরিষ্কার। ওনাকে আলাদা করে গো ব্যাক দেওয়ার কোনো দরকার নেই।“
এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলও। তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, “মানুষ ওঁকে পছন্দ করছেন না। তাই এরকম পোস্টার দেওয়া রয়েছে। তার ক্রেডিট হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের চাকরি খাওয়া। তমলুকের মানুষ শিক্ষিত। তাই তমলুকের মানুষ এগুলো মেনে নেবেন না।“
উল্লেখ্য, এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিকে নিয়ে এরকম পোস্টার পড়েছিল তমলুকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন