ফের তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এবার নওদায়। হেঁটে প্রচারের সময় পাঁচ বারের কংগ্রেস সাংসদকে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। দুই দলের বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
শনিবার নওদা বিধানসভার দমদমা শ্যামনগর থেকে পায়ে হেঁটে প্রচার শুরু করেন বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর অধীরের প্রচার শুরু হতেই তাঁকে ঘিরে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে্ন বলে অভিযোগ। পাল্টা স্লোগান তোলেন কংগ্রেস কর্মীরা। দুই দলের বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যদিও পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভের জন্য অভিযোগ তোলা হয়েছে সেখানকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শফিউজ্জামান ওরফে হাবিব মাস্টারে বিরুদ্ধে। হাবিব মাস্টার মুর্শিদাবাদের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহেরের ভাগ্নে। কংগ্রেসের দাবি, হাবিব মাস্টারের নেতৃত্বেই এই বিক্ষোভ হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাবিব মাস্টার।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, তৃণমূলের উস্কানিতে তাদের আশ্রিত দুষ্কৃতিরা এই অশান্তি ঘটিয়েছে। এরপরেই অধীর চ্যালেঞ্জ করে বলেন, যেখানে প্রোগ্রাম হওয়ার কথা সেখানেই হবে। এবং নির্দিষ্ট সূচি মেনেই হবে। তিনি তৃণমূলের গুণ্ডা দেখে দমে যাওয়ার লোক নয়। যদি সাহস থাকে তাহলে ভোটের দিন একটা বুথ দখল করে দেখাক।
যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে অধীরের এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। হাবিব মাস্টার জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে সাংসদকে না পেয়ে গ্রামবাসীরাই বিক্ষোভ দেখাছেন। সেই কারণেই অধীর যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই বিক্ষোভ হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে বহরমপুরে প্রচারে বেরিয়ে একই ঘটনার মুখমুখি হতে হয়েছিল কংগ্রেস প্রার্থীকে। সেই সময় প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখে মেজাজ হারান অধীর। যদিও, সেই সময় তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, কংগ্রেস প্রার্থী তাদের কর্মী সমর্থকদের গায়ে হাত তুলেছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন