কেন্দ্রীয় সরকারের সারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। কে চন্দ্রশেখর রাও বুধবার সারাদেশের জনগণকে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিজেপি গ্রামীণ অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। সারের মূল্যবৃদ্ধি কৃষি ক্ষেত্রকে সংকটে ফেলবে এবং দেশের কৃষির মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, যে বিজেপি সরকার গ্রামীণ অর্থনীতিকে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ধ্বংস করছে।
তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) প্রধান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সারের উপর ভর্তুকি সরিয়ে দিয়েছে, যা কয়েক দশক ধরে প্রচলিত ছিল। এখন পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে কৃষকদের লাঙল ছেড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ছাড়া উপায় নেই। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তারা ২০২২ সালের মধ্যে ‘কৃষকদের আয় দ্বিগুণ’ করবে, অথচ সারের দাম সর্বোচ্চ বৃদ্ধি করেছে। তাঁর কথায় – “এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় যে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, অথচ এখন ইউ-টার্ন নিয়ে কৃষি ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে।”
কেসিআর বলেন, “কৃষকদের জীবন দুর্বিষহ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি ও পদক্ষেপের পিছনে একটি গভীর মূল ষড়যন্ত্র রয়েছে। বিদ্যুতের চার্জ সংগ্রহের জন্য মোটরগুলিতে মিটার বসানো, কৃষি খাতের সাথে এনআরইজিপিকে যুক্ত না করা, সারের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি করা, কৃষকদের চাষ করা ধান না কেনার মতো সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নিয়েছে। কৃষকদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। তিনি বলেন, প্রত্যেকের উচিত সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা, তা না হলে একজন কৃষককে তার নিজের জমিতে মজুরে পরিণত হবে।”
ইতিমধ্যেই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের। তারপরেই কেসিআর-র বিজেপিকে উৎখাত করার আহ্বান, জাতীয় রাজনীতিতে এটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন