শুক্রবারই একদফায় রাজ্যের ২৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ পর্ব মিটেছে মধ্যপ্রদেশে। গত ৯ অক্টোবর রাজ্যে সেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের জারি করা মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট বা নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধির আওতায় গোটা মধ্যপ্রদেশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ৪০ কোটি টাকা এবং প্রায় ৩০০ কোটিরও বেশি মূল্যের মদ, ড্রাগস, গয়না-সহ অন্যান্য বহুমূল্য দ্রব্য। শুক্রবার নির্বাচনের শেষে এমনটাই জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের নির্বাচন আধিকারিক অনুপম রঞ্জন জানিয়েছেন, গত ৯ অক্টোবর নির্বাচন ঘোষণার পরেই রাজ্যে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট জারি হয়ে যায়। এই নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকাকালীন গোটা রাজ্যে বহু জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। সেই তল্লাশিতে মোট ৩৩৯.৯৫ কোটি টাকা মূল্যের দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
অনুপম রঞ্জনের বক্তব্য, “৯ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্য পুলিশ এবং ফ্লাইং সার্ভেইলেন্স টিম (এফএফটি) ও স্ট্যাটিক সার্ভেইলেন্স টিম (এসএসটি)-এর একটি যৌথ দল গোটা মধ্যপ্রদেশে তল্লাশি চালিয়ে ৪০.১৮ কোটি নগদ-সহ মোট ৩৩৯.৯৫ কোটি টাকার বেআইনি মদ, মাদকদ্রব্য, বহুমূল্য পাথর, সোনা, রুপো, গয়না এবং অন্যান্য দ্রব্য উদ্ধার করেছে। ৩৩৯.৩৯ কোটির মধ্যে নগদ ছাড়াও রয়েছে ৬৫.৫৬ কোটি টাকার ৩৪.৬৮ লক্ষ লিটার বেআইনি মদ, ১৭.২৫ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য, ৯২.৭৬ কোটির সোনা-রুপো-সহ অন্যান্য বহুমূল্য রত্ন এবং ১২৪.১৮ কোটি টাকার অন্যান্য সম্পদ।”
প্রসঙ্গত, গত ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি জারি থাকাকালীন গোটা মধ্যপ্রদেশ থেকে উদ্ধার হয়েছিল মাত্র ৭২.৯৩ কোটি নগদ ও অন্যান্য দ্রব্য। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারীকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এবারে পাঁচবছর আগে উদ্ধার হওয়া সম্পদের প্রায় পাঁচগুণ উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল নির্বাচনে সেরকম কোনো বড়ো ধরণের হিংসার ঘটনা না ঘটলেও বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কিছু জায়গা থেকে সংঘর্ষের খবর এসেছে। এদিন রাজ্যের ২৩০ বিধানসভা কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ৭৪.৯৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন