নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের কাজে বাধা দান ও হেনস্থার অভিযোগে ৩০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলো পুলিশ। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগের তদন্তে গিয়েছিলেন ওই আধিকারিকরা। সেখানেই তাঁদের হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ে। শুক্রবার থানায় অভিযোগ জানান নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াডের আধিকারিক মাধব ভাঙরে। তিনি জানান, "নির্বাচন সংক্রান্ত অ্যাপ cVIGIL-র মাধ্যমে অভিযোগ পেয়েছিলাম। অভিযোগ করা হয় মুলুন্দ শহরের বিপি ক্রস রোডে বিজেপি প্রার্থীর অফিস থেকে টাকা বিলি হচ্ছে। ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের টাকা দেওয়া হচ্ছিল বলেই অভিযোগ করা হয়। সেই তথ্য ঠিক কিনা তা খতিয়ে দেখতেই ওই অফিসে হানা দিই।"
নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক সূত্রে খবর, মুম্বই উত্তর-পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মিহির কোতেহকারের অফিস থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। ওই অফিসে থাকা কর্মীরা সেই টাকার হিসেব দিতে পারেননি। কোনও রশিদ দেখাতে পারেননি। জানিয়েছিলেন পরে টাকার নথি দেখাবেন।
মাধব ভাঙরে আরও জানান, বিজেপি প্রার্থীর অফিসে থাকা বেশ কয়েকজন ব্যক্তি তাঁদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এমনকি উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে যেতেও বাধা দেন। অনেকে আবার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন। হেনস্থা করা হয় তাঁদের।
ওই আধিকারিকের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার ধৃত অভিজিৎ চৌহান, গুরুজ্যোত সিং কির, রোহিত চিকনে, দীনেশ যাদব, প্রতীক কোটক এবং ২৫ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩ ধারা (সরকারি কর্মীকে তাঁর দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার জন্য হামলা চালানো বা হেনস্থা করা) এবং ৩৩২ (সরকারি কর্মীকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে স্বেচ্ছায় আঘাত করা) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এই পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
যদিও বিজেপির তরফ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। জানানো হয়, কোথাও কোনো টাকা বিলি করা হয়নি। বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই সমস্ত ভুয়ো অভিযোগ করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন