মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত গোয়ার নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মিলিন্দ নায়েক। বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গিরিশ চোদানকার মিলিন্দ নায়েকের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন। এর কয়েক ঘন্টা পরেই মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "অবাধ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মিলিন্দ নায়েক গোয়া সরকারের মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে এবং মাননীয় রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছে।"
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি সুশাসন বৈঠকে যোগ দিতে তিনদিনের উত্তরপ্রদেশ সফরে গিয়েছিলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। সেখান থেকে ফিরে আসার কয়েক ঘন্টা পরই তাঁর কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন মিলিন্দ নায়েক।
এর আগে বুধবার পানাজিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে চোদানকার অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৯ সালের দিকে বিহারে এক মহিলাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন মিলিন্দ নায়েক। তিনি বলেছেন, "যৌন কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত মন্ত্রী মিলিন্দ নায়েককে বরখাস্ত করা উচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মিলিন্দ নায়েকের মতো মন্ত্রীদের, যারা মহিলাদের যৌন নিপীড়ন করেন, তাঁদের কোনোভাবেই রক্ষা করা উচিত নয়।"
নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের কাছেও অনুরোধ জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি চোদানকার। গোয়ার বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতিতা যাতে অভিযোগ দায়ের করার সাহস পান, নীতিশ কুমারকে তা দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, "আমি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে বিহারের মেয়ের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করছি, যাঁর সাথে গোয়ার এক মন্ত্রী নৃশংসতা করেছেন। আপনি বিহারে নারীদের ক্ষমতায়নের কথা বলছেন। আপনি কি আপনার মেয়ের পাশে থাকবেন নাকি গোয়ার মন্ত্রীর পাশে থাকবেন? বিহার এবং ভারতের মানুষ আপনাকে দেখছে।"
এর আগে ওইদিনই পানাজি মহিলা থানায় মিলিন্দ নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে যুব কংগ্রেস। অডিও-ভিডিও-হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রমাণ হিসেবে জমা দিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন