রবিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে. চন্দ্রশেখর রাও বৈঠকে বসেছিলেন। বিজেপি-বিরোধী ফ্রন্টের জন্য একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি বিরোধী একটি জাতীয় বিকল্প গঠনের কথা শোনা উভয় নেতার মুখে। ঠাকরের বাসভবনে বৈঠকের পরে, সাংবাদিকদের তাঁরা বলেন যে, অন্যান্য আঞ্চলিক ও জাতীয় দলের নেতাদের সাথে আলোচনা করবেন তাঁরা।
তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) প্রধান বলেন, “দেশে একটি বড় পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের বৈঠকের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হল। আমি বিশ্বাস করি এই বৈঠক থেকেই সেই বার্তা পৌঁছাবে”। মহারাষ্ট্র থেকে শুরু হওয়া প্রচারাভিযানগুলি অতীতে সফল হয়েছিল উল্লেখ করে, কেসিআর বলেন যে, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ এবং বালাসাহেব ঠাকরের মতো মারাঠা যোদ্ধারা দেশকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।. তিনি বলেন, আমরা একই চেতনা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছি।
দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করে ঠাকরে বলেন, “রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে যে পরিবেশ থাকা উচিত তা আজ দেখা যাচ্ছে না। এই রাজনীতি কাজ করবে না। তাই, আমরা নতুন করে শুরু করেছি। দেশে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং যেভাবে নিম্নমানের রাজনীতি হচ্ছে তা হিন্দুত্ব নয়।”
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “হিংসা বা প্রতিশোধ নিয়ে হিন্দুত্ব চলতে পারে না। যদি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে?” কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে কিছু রাজ্য এবং কিছু বিরোধী নেতাকে নিয়ে ‘গুজব ছড়ায়’ তাতেও তিনি তার অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর আরও আলোচনার জন্য ঠাকরেকে হায়দ্রাবাদে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন – “আমরা ভাই, কারণ আমাদের দুই রাজ্যের মধ্যে ১০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। আমরা মহারাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতায় কালেশ্বরম প্রকল্পটি তৈরি করেছি। আমরা ভবিষ্যতেও একসাথে কাজ চালিয়ে যেতে চাই।” কেসিআর ঠাকরের সাথে বৈঠকের পরে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন