বারবার দলবদল করেও মিলল না হিসাব। অর্জুনের গড় হিসাবে পরিচিত ব্যারাকপুর জিতে নিয়েছেন তৃণমূলের পার্থ ভৌমিক। হেরে যাওয়ার পর অর্জুন সিং জানালেন, আর দলবদল করবেন না তিনি।
ব্যারাকপুর পরিচিত অর্জুনের গড় হিসাবে। ভাটপাড়ার চারবারের বিধায়ককে ২০১৯ সালে প্রার্থী না করায় রাতারাতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির প্রতীকে সাংসদও হয়েছেন অর্জুন। খাতায় কলমে বিজেপির সাংসদ থাকলেও তার তিনবছরের মধ্যে ফের তৃণমূলে ঘরওয়াপসি করেন তিনি। ভেবেছিলেন ২০২৪–এ ব্যারাকপুর থেকে তৃণমূল প্রার্থী করবে তাঁকে। সেই কারণে ব্রিগেড সমাবেশেও উপস্থিত ছিলেন অর্জুন। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থী করে পার্থ ভৌমিককে।
এরপর ফের বিজেপিতে যোগ দেন ক্ষুব্ধ অর্জুন। প্রার্থী হন বিজেপি থেকে। তবে এবার আর জয়ী হতে পারেননি অর্জুন। মিলল না তাঁর হিসাব। তৃণমূলের পার্থ ভৌমিকের কাছে ৬৪ হাজার ৪৩৮ ভোটে পরাজিত হন অর্জুন।
ভোটের আগে এক ঘরোয়া আলোচনায় অর্জুন সিংকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমি ভোটে লড়তে নামি সব হিসাব করে। একটা ভোট হওয়ার পরের মিনিট থেকে পরের ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিই আমি।“ কিন্তু ফলাফল বলছে অর্জুনের সেই হিসাব এবার আর মিলল না। যদিও নিজেও সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
ভোটে হারার পর কী করবেন অর্জুন? এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, রাজনীতি তিনি ছাড়বেন না। কিন্তু অন্যদলেও যাবেন না তিনি। বিজেপিতে থেকেই রাজনীতি করবেন তিনি এমনই দাবি করেন অর্জুন।
তবে অর্জুনের এই হারের পিছনে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল বিজেপির অন্তর্ঘাতকেই দায়ী করছেন। পলতা, ইছাপুর, নৈহাটি, নোয়াপাড়া, কাঁকিনাড়া, ব্যারাকপুর শহরে বিজেপির কিছু স্থানীয় নেতৃত্ব এই অন্তর্ঘাত করেছেন বলে অভিযোগ। যদিও সেটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি অর্জুন সিং।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন