অবশেষে জল্পনার অবসান। বিজেপিতেই যোগ দিচ্ছেন ব্যারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ অর্জুন সিং। বৃহস্পতিবার নিজেই সেকথা জানালেন। তবে তিনি একা নন, আরও এক তৃণমূল নেতা তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে দাবি করেছেন অর্জুন। যদিও ওই নেতা আসলে কে? তা খোলসা করেননি তিনি।
অর্জুন জানান, ‘‘বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারই যোগ দেব। দল (বিজেপি) যেমন বলবে, তা মেনেই যোগ দেব। দিল্লি বা কলকাতা যেকোনো জায়গায় যোগ দেব। আজ দেড়টার সময় আমার কাছে ফোন আসবে। তার পরেই এ ব্যাপারে জানতে পারব।’’ এমনকি ব্যারাকপুরেরও হাজার হাজার মানুষ বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
দলবদলের জল্পনার মধ্যে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্জুন প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘ও তো এখনও বিজেপিরই সাংসদ।“ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথার জবাব দিয়ে অর্জুন বলেন, ‘‘আমি ব্রিগেডের মঞ্চে ছিলাম। তা সত্ত্বেও আমাকে শুনতে হল আমি বিজেপির সাংসদ। তা হলেই বুঝুন দলটার কী অবস্থা!’’
এরপরেই অর্জুন বললেন, "আমি ওঁকে(মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) অভিনন্দন জানাচ্ছি। উনি অনেক বড় মাপের নেত্রী। এত নথি, এত প্রমাণ থাকার পরও উনি এক জন বিজেপি সাংসদকে ওনার দলের রাজনৈতিক সভার মঞ্চে চার ঘণ্টা বসতে দিয়েছেন। ওঁকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ ব্রিগেডের মঞ্চে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন অর্জুন সিং। এবার ব্যারাকপুর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে পার্থ ভৌমিককে। মঙ্গলবারই নিজের অফিস থেকে সরিয়ে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। সেই জায়গায় রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি।
২০১৯ –এর লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে অর্জুনকে প্রার্থী করা হয়নি। তার জায়গায় সেবার প্রার্থী হয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। টিকিট না পেয়ে রাতারাতি বিজেপিতে যোগ দেন অর্জুন। সেবার বিজেপির প্রতীকে নির্বাচনে জিতে সাংসদ হন তিনি। তবে ২০২২ সালে ঘরওয়াপসি হয় তাঁর। সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন, “ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন