নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের ইশতেহার প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। রাহুলের অভিযোগ, বিজেপি দেশের যুবকদের নিয়ে ভাবেই না। সেই কারণে বেকারত্বের প্রসঙ্গই আনেনি ইস্তেহারে।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে রবিবার ইশতেহার প্রকাশ করেছে বিজেপি। ৭৬ পাতার ইশতেহারে বেকারত্বের প্রসঙ্গ নেই। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে তেমন কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। ফসলের ন্যূনতম দাম বা এমএসপি-র আইনি নিশ্চয়তা নিয়ে কোনও প্রতিশ্রুতি নেই। মহিলাদের সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বা তাঁদের ভাতা দেওয়ার প্রসঙ্গও উল্লেখ নেই। এর সবগুলিই রয়েছে কংগ্রেসের ইস্তেহারে। তাই বিজেপির ইশতেহার প্রকাশের পরই তার সাথে নিজেদের ইশতেহারের তুলনা করে গেরুয়া শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করছেন একের পর এক কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী লেখেন, 'বিজেপির ইশতেহার এবং নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতায় দুটি শব্দ নেই - এক মুদ্রাস্ফীতি ও দুই বেকারত্ব। আসলে জনগণের জীবনের সাথে সম্পর্কিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনাই করতে চায় না বিজেপি'।
তিনি আরও বলেন, 'ইন্ডিয়া মঞ্চের পরিকল্পনা খুবই স্পষ্ট। আমরা ৩০ লক্ষ পদে নিয়োগ এবং প্রত্যেক শিক্ষিত যুবকের জন্য ১ লক্ষ টাকার চাকরির নিশ্চয়তা দিচ্ছি। যুবক-যুবতীরা এবার আর মোদীর ফাঁদে পা দেবেন না। তাঁরা কংগ্রেসের হাতকে শক্তিশালী করে দেশে 'কর্মসংস্থানের বিপ্লব' আনবেন'।
শুধু রাহুল গান্ধীই নন, বিজেপির ইশতেহার নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশও। তিনি বলেন, "৭৬ পাতার ইশতেহারে ক্যামেরাজীবীর ছবি রয়েছে ৫৩টি। গত ১০ বছর ধরে এক ব্যক্তি তথ্য বিকৃত করছেন। আসল সত্য তুলে ধরেছেন না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনাই করেন না। তাই এবার তাঁকে বিদায় দিতে হবে।"
কংগ্রেসের আর এক মুখপাত্র পবন খেরা অভিযোগ তুলেছেন, ‘‘অতীতের কোনও সরকার এই ভাবে বার বার লক্ষ্য বদলের রোগে ভোগেনি। ২০১৪-য় যে সব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার কতটা পালন হয়েছে, ২০১৯-এ বিজেপি সে বিষয়ে কোনও হিসেব দেয়নি।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন