মিমের (AIMIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি সম্প্রদায়ের স্বার্থের জন্য লড়াই করেন না। ভারতে এমন মুসলিমের সংখ্যা কমই আছে, যারা সম্প্রদায়ের স্বার্থ দেখেন। ওয়েইসি আসলে বিজেপির ভোট ব্যাংক শক্ত করতে তৎপর। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত আবদুল বসিত।
ওয়েইসি একজন ইন্টারেস্টিং মানুষ বলে উল্লেখ করে বলেন, 'ওয়েইসি একজন আইনজীবী। আমি ভারতে থাকাকালীন তিনি লোকসভার সদস্য ছিলেন। আমাদের কোনও আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়নি। আমি যখনই তাঁর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছি, তিনি আমাকে এড়িয়ে গিয়েছেন।'
প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূতের দাবি, ওয়েইসি আসলে বিজেপিরই সঙ্গী! তাঁর লক্ষ্য, কংগ্রেসের ভোট কেটে বিজেপির ভোটব্যাংক শক্তিশালী করা। বসিত বলেন, 'পরিস্থিতি দেখলে বোঝা যায়, ওয়েইসির সংগঠন বিজেপির সঙ্গেই আছে। মুসলিম ভোট ভাগ করে কংগ্রেসের ক্ষমতা দুর্বল করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। তাই তেলেঙ্গনা, হায়দরাবাদে সফল হয়েছেন। কিন্তু, পঞ্জাব বা হরিয়ানায় হননি।'
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে ভারতের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন পর্ব হয়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ফের ক্ষমতায় এলেও পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ফলাফল দেখাতে পারেনি পদ্মশিবির। তাই ২০২৩-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিধানসভা নির্বাচনগুলির ফলাফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ্মশিবিরে।
তাহলে কি ভারতীয় মুসলিমরা কংগ্রেসকে ভোট দিক, এই বার্তা দিচ্ছেন বসিত? পাকিস্তান কীভাবে লাভবান হবে? প্রশ্ন উঠেছে ওয়াকিবহাল মহলে। কংগ্রেসের তরফ থেকে বসিতের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান হয়েছে। কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভিকে বলেন, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে বাইরের কোনও নেতার নাক গলানো উচিত নয়। বসিত ভারতের কথা ভুলে পাকিস্তান নিয়ে ভাবুন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন